পাতা:এক নজরে ইসলাম.pdf/৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
এক নজরে ইসলাম

সাধারণ মানুষের সামনে ইসলামের এক বিকৃত চিত্র তুলে ধরে তাদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তারা বলে চলেছেন যে, ইসলামের অর্থ হল শান্তি, তাই ইসলাম হল শান্তির ধর্ম। তারা জেনেশুনে এই অসত্য বলে চলেছেন যে, কোরাণে কোথাও কাটাকাটি ও মারামারির কথা লেখা নেই। এবং যে সব মুসলমান সন্ত্রাসবাদীরা ওই সব কাজ করছে, তারা কোরাণের নির্দেশকে অমান্য করেই খুন খারাপি, রক্তারক্তি করে চলেছে, ইত্যাদি ইত্যাদি। তাই আরবের নিরক্ষর পশুপালকদের দ্বারা উদ্ভূত ইসলামী তত্ত্বের প্রকৃত চরিত্র মানুষের সামনে তুলে ধরা খুবই জরুরী হয়ে পড়েছে।

 কোরাণ এবং হাদিস হল ইসলামী শাস্ত্রের মূল আকরগ্রন্থ। পৃথিবীর সমস্ত মুসলমান বিশ্বাস করে যে কোরাণ স্বয়ং আল্লার বাণী এবং ওহী বা প্রত্যাদেশ হিসাবে দেবদুত জিব্রাইল সেই বাণী নবী মহম্মদকে শোনাভো। প্রকৃতপক্ষে পৃথিবীতে কোরাণ অবতীর্ণ হবার অনেক আগেই আল্লা একখানা স্বর্গীয় কোরাণ লিপিবদ্ধ করে রেখেছিলেন। দেবদূত জিব্রাইল (বাইবেলের গ্যাব্রিয়েল) স্বর্গ থেকে মণিমুক্তা খচিত সেই স্বর্গীয় কোরাণখানা সঙ্গে করে নিয়ে আসতে এবং তা থেকে অংশ বিশেষ নবী মহম্মদকে পড়ে শোনাতো। এইভাবেই মহম্মদের কাছে আল্লার ওহী বা প্রত্যাদেশ পৌঁছে যেত। জিব্রাইল পড়ে শোনাতো বলে কোরাণের প্রত্যাদেশকে বলা হয় পঠিত প্রত্যাদেশ বা ওহী-এ-মৎলু।

 ওহী আসার তেমন কোন বাঁধা ধরা সময় ছিল না। নবী উটের পিঠে যুদ্ধ যাত্রা করছেন, বা যুদ্ধ ক্ষেত্রে যুদ্ধ পরিচালনা করছেন, এমন কি, বিবি আয়শার সাথে লেপের তন শুয়ে আছেন, এমন সময়ও আল্লার ওহী এসে যেত। ৬১০ খ্রীষ্টাব্দে রমজান মাসের সম্ভবত ২৭ তারিখে, শবেকদরের রাত্রিতে সর্বপ্রথম কোরাণের বাণী অবতীর্ণ হয় এবং পরবর্তী ২৩ বছর ধরে ধীরে ধীরে সমগ্র কোরাণ অবতীর্ণ হয়। বাণী অবতীর্ণ হলে মহম্মদ তা তার শিষ্যদের শোনাতেন এবং তারা খেজুড় পাতা, চামড়া, হাড় বা নিজেদের বুকে তা লিখে রাখত। নবী মহম্মদ মারা যাবার কয়েক বছর পরে খলিফা আবুবকরের সময় সমগ্র কোরাণ সঙ্কলিত হয়।

 পৃথিবী থেকে স্বর্গের দূরত্ব ৫০০ বছরের পথ। কিন্তু ৬০০ (মতান্তরে ৬