পাতা:এক নজরে ইসলাম.pdf/৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
এক নজরে ইসলাম

লক্ষ) ডানা বিশিষ্ট ফেরেস্তা জিব্রাইল একদিনে ওই দূরত্ব অতিক্রম করত। সাধারণত, আল্লার বাণী নিয়ে জিব্রাইল সকালবেলা স্বর্গ থেকে রওনা দিত এবং সন্ধ্যাবেলায় পৃথিবীতে পৌঁছে তা নবী মহম্মদকে শোনাতো। এবং সন্ধ্যাবেলায় পৃথিবী থেকে রওনা দিয়ে সকালবেলা স্বর্গে পৌঁছে যেত। তার এই ঘন ঘন আসা যাওয়ার ফলে মদিনার মসজিদের বাবে জিব্রাইল নামক দরজার ঘাস মরে গিয়ে রাস্তা তৈরী হয়ে গিয়েছিল। তাই জিব্রাইল যে কোরাণের বাণী নিয়ে আসতো তার সপক্ষে এর থেকে বড় প্রমাণ আর কি হতে পারে।

কোরাণের মত হাদিসের উৎসও হল আল্লার প্রত্যাদেশ বা ওহী। কিন্তু হাদিসের ওহী জিব্রাইল শুধু মুখে বলত, পড়ে শোনাতো না। তাই হাদিসের বাণীকে বলা হয় অপঠিত প্রত্যাদেশ বা ওহী-এ-গৈরমৎলু;; বীমহম্মদ হাদিসের প্রত্যাদেশ তাঁর শিষ্যদের শোনাতেন বটে, তবে তা লিখে রাখতে নিষেধ করতেন। তাই তা মানুষের মুখে মুখে প্রচারিত হত। ফলে তার মধ্যে অনেক গলদ ঢুকে যায়। তাই হিজরির ৯৯ সালে খলিফা দ্বিতীয় ওমর সঠিক হাদিস সঙ্কলনের ওপর জোর দেন। ফলে হিজরির তৃতীয় শতাব্দীতে হাদিসের ১৪৬৫ খানা সঙ্কলন লেখা হয়। এর মধ্যে মাত্র ৬ খানা হাদিস মুসলীম জগতে মান্য এবং এরা হল (১) বোখারী, (২) মুসলীম, (৩) আবু দাউদ, (৪) তিরমিজি, (৫) নাসারী ও (৬) ইবনে মাজা সঙ্কলিত হাদিস। এবং এর মধ্যে মাত্র দুখানা, বোখারী ও মুসলীম সঙ্কলিত হাদিস, সর্বাপেক্ষা বিশ্বাসযোগ্য। তাই তাদের বলা হয় “সহীহ্ হায়েন” বা বিশুদ্ধ দুই। যেহেতু কোরাণ এবং হাদিস, দুইয়েরই উৎস আল্লার স্বর্গীয় প্রত্যাদেশ, তাই মুস মানদের কাছে তা সমান মান্য। সেই কারণে কোরাণ ও হাদিসে মুসলমানরা কোন তফাৎ করে না।

যাই হোক, কোরাণ এবং হাদিস- এর সামান্য কিছুটা পাঠ করলেই দেখা যাবে যে, ইসলাম হল অত্যন্ত সাম্প্রদায়িক চরম এক ঘৃণার তত্ত্ব এবং এর মূলে রয়েছে তিনটি সিদ্ধান্ত। এই তিনটি সিদ্ধান্ত হল, (১) মিল্লাৎ ও কুফর, (২) দার-উল-ইসলাম ও দার-উল-হার্ব এবং (৩) জিহাদ।