পাতা:এক নজরে ইসলাম.pdf/৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
এক নজরে ইসলাম

মধ্যে শান্তি স্থাপন কর” (ঐ-৪৯/১০)।

আরবী শব্দ কুফর বলতে বােঝায় অবিশ্বাস করা বা বিরােধিতা করা। বিশেষ অর্থে আল্লর কোরাণ ও আন্নার রসুল মহম্মদে অবিশ্বাস করা বা তার বিরােধিতা করা। যারা এই অবিশ্বাস করে তারাই হল কুফরকারী কাফের। সুতরাং ইসলামের দৃষ্টিতে প্রতিটি অমুসলমানই কাফের। পাঁচটি স্তম্ভের ওপর ইসলাম দাঁড়িয়ে আছে এবং এগুলাে হল, (১)কলেমা, (২) নামাজ, (৩) বােজা, (৪) যাকাৎ ও (৫) হজ। প্রথম স্তম্ভ কলেমা (বা ইমান) বলতে বােঝায় ৬টি সঙ্কল্প বাক্য। প্রথম কলেমা বা কলেমা তৈয়র বলছে, “লা ইলাহা ইল্লাল্লা, মহম্মদুর রসুলুল্লা,” অর্থাৎ ‘আল্লা ছাড়া কোন উপাস্য নেই, মহম্মদ আল্লার রসুল।” ইসলামী শাস্ত্রে এই কলেমার গুরুত্ব সর্বাধিক এবং তাই একে বলা যায় ইসলামের প্রাণ। যে কোন অমুসলমানকে মুসলমান হতে গেলে সর্বপ্রথম এই কলেমায় দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করতে হবে। পক্ষান্তরে, এই কলেমায় সামান্যতম অবিশ্বাস করলে অতি গোঁড়া মুসলমানও সঙ্গে সঙ্গে কাফের হয়ে যাবে।

প্রকৃতপক্ষে আরবী শব্দ “ইসলাম”-এর অর্থ নিঃসর্ত আত্মসমর্পণ (শাস্তি নয়)। সঙ্কীর্ণ অর্থে আল্লার কোৱাণ ও আল্লার রসুল মহম্মদের কাছে আত্মসমর্পণ এবং “মুসলমান” শব্দের অর্থ আত্মসমর্পণকারী। এই সব কথাবার্তার পিছনে যে সত্য লুকিয়ে আছে তা হল, ইসলামের দৃষ্টিতে মানুষ দুই রকমের। যারা আল্লার কোরাণ ও আল্লার রসুল মহম্মদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে তারা হল ইমানদার মুসলমান বা মােমেন। আর যারা তা করেনি, তারা হল ঘৃণ্য কাফের। অর্থাৎ ইসলাম পৃথিবীর সমগ্র মানব সমাজকে দুই ভাগে ভাগ করে। প্রথম দলে রয়েছে সব কোরাণে বিশ্বাসী মুসলমান এবং দ্বিতীয় দলে রয়েছে সব অমুসলমান কাফের।

কোরাণ পড়েছে এবং ইসলাম জানে, হিন্দুদের মধ্যে এরকম লােক খুবই কম। এই সুযোেগ নিয়ে মুসলমানরা হিন্দুদের চিরকাল বােকা বানিয়ে আসছে। বর্তমানে তারা আরও একভাবে তাদের বােকা বানাবার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মুসলমান লেখক, বুদ্ধিজীবী ও সাংবাদিকরা বলে বেড়াচ্ছেন যে, কাফের বলতে বােঝায় নিরীশ্বরবাদী নাস্তিক ব্যক্তি। এদের সঙ্গে সুর মিলিয়ে আমাদের