C23 of 3 R \TO वाश्म) कcद्रन नाशे । ऊँश्ािंद्र দুর্গমধ্যে প্ৰবেশ করিয়া যেন নবজীবন লাভ করিলেন। আবার ঝন ঝন শব্দে দুর্গের দ্বারা পড়িয়া গেল। এই আরোহিগণের পরিচয় জানিবার জন্য সম্ভবতঃ সকলের কৌতুহল হইয়া থাকিবে। আমরা এক্ষণেই তাহদের কৌতুহলের নিবৃত্তি করিয়া দিতেছি । মণিমাণিক্যখচিত ময়ুরাসনের ঔজ্জ্বল্যে বিমোহিত হইয়া সাজাহান বাদসাহের পুত্ৰগণের মধ্যে মহাসমারাভিনয় আরম্ভ হয় । অবশেষে আরঙ্গজেব জয়ী হইয়া ময়ুরাসন লাভ করেন। জ্যেষ্ঠ দারার নিপাতসাধন করিয়া আরঙ্গজেব মধ্যম ভ্ৰাতা সুজার বিরুদ্ধে অগ্রসর হন । এলাহাবাদের নিকট কােজ ওয়া নামক স্থানে সুজাকে পরাজিত করিয়া আরঙ্গজেবের সৈন্য তঁহাকে বাঙ্গালাভিমুখে বিতাড়িত করিয়া দেয়। সুজা সেই সময়ে বাঙ্গলার সুবাদার ছিলেন । তিনি রাজধানী রাজমহলে আসিয়া আশ্ৰয় লাইলেন। আরঙ্গজেবের পুত্র সুলতান মহম্মদ ও সেনাপতি মীর জুমার অধীন বাদসাহী সৈন্য দুই দিক হইতে রাজমহল আক্রমণ করিয়া বসিল, তাহাদিগের গোলাবৃষ্টিতে রাজমহলের প্রাচীর ভগ্ন ও সমস্ত নগর কম্পিত হইতে লাগিল । সুজা রাজধানী রক্ষা করিতে পারলেন না, কাজেই পরিবারবর্গ ও ধন সম্পত্তি লইয়া অন্ধকারময় রাত্ৰিতে গঙ্গাপার হইলেন এবং টাড়ায় গিয়া আশ্ৰয় লইলেন । আমরা ইতঃপূর্বে সেই ঘটনারই উল্লেখ করিতেছিলাম । টাড়ার প্রাসাদে উপস্থিত হইয়া সা সুজা, তঁহার বেগম পিয়ারী বানু। ও আর আর সকলে বেশ পরিবর্তন করিলেন । পিয়ারী বানুর সৌন্দৰ্য্যের তুলনা তৎকালে হিন্দুস্থানে ছিল না, তঁহার বুদ্ধি ও অতুলনীয় ছিল। শয়ন-প্ৰকোষ্ঠে বসিয়া সুজা ও বানু আপনাদের ভাগ্যের কথা লইয়া আলোচনায় প্ৰবৃত্ত হইলেন । সুজা বলিতে আরম্ভ করিলেন,- “পিয়ারী, সমস্ত আশা ভরসা ত একবারেই অতল জলে ডুবিয়া গেল, এক্ষণে উপায় কি ?”
