পাতা:ঐতিহাসিক চিত্র (চতুর্থ বর্ষ) - নিখিলনাথ রায়.pdf/৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sரத पैंडिशनिक $द्ध । বিদ্যমান রহিয়াছে। রাজকন্যা সাধনার বিবাহের জন্যই যে, এই উৎসবের অনুষ্ঠান তাহা বোধ হয় নূতন করিয়া বলিতে হইবে না। কয়েক দিন হইতেই উৎসব আরম্ভ হইয়াছে, কিন্তু আজই তাহার ঘটা অধিক, কারণ আজই সাধনার বিবাহের দিন। বিবাহ আরও কিছু দিন পূর্বে হইত, কিন্তু যুবরাজ লক্ষ্মণ সেন পূর্ববঙ্গ হইতে প্ৰত্যাগত না হওয়ায় বিলম্ব ঘটিয়াছে। বল্লালের বাৰ্দ্ধক্যাবস্থায় লক্ষ্মণ সেনই তাহার বিশাল সাম্রাজ্যের নানাস্থান পরিদর্শন করিয়া বেড়াইতেন । পিতার সহিত লক্ষ্মণের তাদৃশ সদ্ভাব না থাকায় তিনি দূরেই থাকিতে ভাল বাসিতেন। গৌড় অবশেষে তাহার নামানুসারে লক্ষ্মণাবতী নাম ধারণ করিালেও নবদ্বীপ ও বিক্রমপুর তাহার অত্যন্ত প্রিয় ছিল। লক্ষ্মণ আজই বিক্রমপুর হইতে প্ৰত্যাগত হইয়াছেন। তিনি সাধনার বিবাহের সংবাদ পাইবার পূর্বেই বিক্রমপুর পরিত্যাগ করিয়াছিলেন, এবং পথিমধ্যে পত্ৰবাহকের নিকট হইতে সংবাদ পাইয়া দ্রুতগতিতে গৌড়াভিমুখে অগ্রসর হন। যে দিন উপস্থিত হইবেন পুর্বে তাহার সংবাদ দিয়াছিলেন । লক্ষ্মণ সেন গৌড়ে উপস্থিত হওয়ার পূর্বেই অবগত হইয়াছিলেন যে, বল্লাল সেন শ্যামরূপাকে বিবাহের যৌতুক দিতে স্বীকৃত হইয়াছেন। এই ংবাদ শুনিয়া ক্ষোভে ও ক্ৰোধে তিনি জ্ঞানহারা হইয়া পড়েন । শুষ্ঠামরূপ সেনবংশের কুলদেবতা। বল্লাল যখন তাহাকে যৌতুক দিতে সন্মত হইয়াছেন তখন নিশ্চয়ই তাহার মতিভ্ৰম ঘটিয়াছে, লক্ষ্মণ ইহাই স্থির করিলেন। তিনি প্রাসাদে উপস্থিত হইয়া পিতামাতার পদধূলি লইলেন। পরস্পর কুশলবার্তা জিজ্ঞাসা করিবার পর লক্ষ্মণ পিতাকে বলিলেন, “সাধনার বিবাহ কি আজই হইবে ?” “আজই হইবে বৈ কি, কেন, বিবাহের দিনের কথা তোমাকে खांमान श्ब्रांटछ ।” 鸭 “অনেক বার তা দিনের কথা শুনিয়াছি।”