পাতা:ঐতিহাসিক চিত্র (প্রথম বর্ষ) - নিখিলনাথ রায়.pdf/১০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88 ঐতিহাসিক চিত্র। । ঔদাষ্ঠ দূরে পরিহার করিয়া আবার তাহারা জাতিপদবাচ্য হউক। এ বৎসরের বিরাট অধিবেশনের জন্য আমরা উৎসব-সমিতিকে সৰ্ব্বান্তঃকরণে ধন্যবাদ প্রদান করিতেছি। উৎসবসভায় অনেক মহাত্মা বাঙ্গলা, হিন্দী ও ইংরেজীতে বক্ততা করিয়াছিলেন। সভাপতি মহাশয়ও ওজস্বিনী ভাষায় শিবাজীর গুণগরিমা ব্যক্ত করিয়া শ্রোতৃবর্গের হৃদয়ে উৎসাহের সঞ্চার করিয়াছিলেন। কিন্তু সৰ্ব্বাপেক্ষা কবীন্দ্র রবীন্দ্রনাথের মৰ্ম্মস্পর্শী কবিতা সকলকে মুগ্ধ করিয়াছিল। এরূপ কবিতা অনেক দিন বঙ্গী-সাহিত্যকে অলস্কৃত করে নাই । ভাবে, ছন্দে ও ভাষায় প্ৰাণ নাচাইয়া তুলে। আমরা কবির শেষ উক্তি উদ্ধত করিতেছি, - “মারাঠার সাথে আজি, হে বাঙালি, এককণ্ঠে বল জয়তু শিবাজি! মারাঠীর সাথে আজি, হে বাঙালি, এক সঙ্গে চল মহোৎসবে আজি । আজি এক সভাতলে ভারতের পশ্চিম-পুৱব দক্ষিণে ও বামে একত্রে করুক ভোগ এক সাথে একটি, গৌরব এক পুণ্যনামে !” রবীন্দ্রনাথের এই মৰ্ম্মস্পৰ্শী আহবান কি কোন দিন ফলিবেন ? বৈশালী-সাহিত্যপরিষদের আশ্বিন মাসের অধিবেশনে আর্কেওলজিক্যাল সার্ভেয়ার শ্ৰীযুক্ত রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় বৈশালী সম্বন্ধে একটি, কে দীপক প্ৰবন্ধ পাঠ করিয়াছিলেন। প্রবন্ধে রাখাল বাবু অত্যন্ত । গবেষণার পরিচয় দিয়াছিলেন। বৈশালী, শ্রাবস্তী ও কৌশাম্বী বৌদ্ধগণের গ নিকট তীর্থরূপে পরিচিত ছিল। তন্মধ্যে বৈশালীতে বুদ্ধদেবের অনেক কীত্তি ও দ্বিতীয় বৌদ্ধসঙ্ঘের অধিবেশন ঘটিয়াছিল। রাখাল বাবু সেই সমস্ত বিশেষ রূপে ব্যক্ত করিয়াছিলেন। তিনি কনিংহাম প্রভৃতির মতানুসারে মজঃফরপুরের নিকটস্থ বেসাড়কে বৈশালী छिन्न कब्रिभांछन, এবং ১৯০৩ সালে সুপ্ৰসিদ্ধ