পাতা:ঐতিহাসিক চিত্র (প্রথম বর্ষ) - নিখিলনাথ রায়.pdf/৪৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ফারাদুষী ও সুলতান মামুদ । 8ዓx€ উপনীত হইয়াছে। বিজিত পারম্ভের এ দুর্দশা দেখিয়া বিজয়ী সুলতানের প্ৰাণ কাদিয়া উঠিল—তিনি বহুমূল্য পুরস্কারের প্রলোভন দেখাইয়া ডাকিকি ( Dakiki) নামক দেশের তদানীন্তন সর্বপ্রধান কবিকে পারস্যদেশে মুসলমান অধিকার বিস্তৃত হইবার পূর্ববৰ্ত্তী কালের শাসনকৰ্ত্তা ও বীরগণের কীৰ্ত্তি কাহিনী অবলম্বনে একখানি সৰ্ব্বাঙ্গ সুন্দর शर्शकांदा প্ৰণয়ন করিতে আদেশ করিলেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় মহাকাব্যের সহস্ৰ শ্লোক রচনা করিতে না করিাতেই নিজ ভৃত্যের গুপ্ত আঘাতে কবিবর ডাকিকি ইহলোক হইতে বিদায় গ্ৰহণ করেন। ডাকিকির মৃত্যুর অব্যবহিত পরেই মহাকবি ফারদুষী লোক পরম্পরায় সুলতান মামুদের বিদ্যোৎসাহিতা ও বদ্যান্যতার কথা অবগত হইয়া গজনীর রাজসভায় আসিয়া উপস্থিত হইলেন এবং অতি অল্পকাল মধ্যেই নিজ কবিত্বশক্তি প্ৰদৰ্শন করিয়া সুলতান ও অমাত্যবর্গকে সন্তুষ্ট করিতে সমর্থ হন। অর্থলোভী হইলেও সুলতান মামুদ কাব্যামোদী ও বিদ্যোৎসাহী ছিলেন। ফারদুষীর গুণগ্রামের পরিচয় পাইয়া তিনি তঁহাকে বহুমূল্য উপহার দিতে প্ৰতিশ্রুত হইয়া ডাকিকি-আরব্ধ। মহাকাব্য লিখিবার ভার অর্পণ করেন। ফারাদুষীও রাজাজ্ঞায় নূতন উৎসাহে ও নবোদামে কাব্য রচনায় মনোনিবেশ করিলেন। পূর্ব রাত্রে যতটুকু রচনা করিতেন। পরদিন রাজসভায় তাহা সুলতান ও অমাত্যবৰ্গকে পাঠ করিয়া শুনাইতেন। সুলতান ও র্তাহার রচনা শুনিয়া প্ৰত্যেক দিনই তঁহাকে উপযুক্ত পুরস্কার প্রদানে উৎসাহিত করিতেন। এইরূপে পূর্ণ ৩০ বৎসরের বিপুল যত্ন, পরিশ্রম ও অনুসন্ধানের ফলে মহাকবি ফারাদুষী তাহার প্রতিভা ও পাণ্ডিত্যের বিরাট কীৰ্ত্তি স্বরূপ ‘সাহনামা” নামক মহাকাব্য রচনা করিলেন । ‘সাহনামা” ষষ্ঠ সহস্ৰ শ্লোকে সম্পূর্ণ হইয়াছে। ইহার ভাষা অতি সুমার্জিত। প্ৰসিদ্ধ পাশ্চাত্য সমালোচকগণও গ্রন্থের ভূয়সী প্ৰশংসা করিয়া গিয়াছেন। পারস্য ভাষায় ইহার ন্যায় দ্বিতীয় গ্ৰন্থ নাই। এমন সর্বাঙ্গ সুন্দর মহাকাব্য পাশ্চাত্য সাহিত্যেও অতি বিরল। গ্রন্থে প্ৰাচীন পারসী শব্দের ৰাহুল প্রয়োগ দৃষ্ট হয় এবং কবি যে ইচ্ছা করিয়াই অধিঠ সাবধানে আরবী শব্দ