পাতা:ঐতিহাসিক চিত্র (প্রথম বর্ষ) - নিখিলনাথ রায়.pdf/৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সজীব বুদ্ধ। voy' অসীম। - সজীব বুদ্ধ ও লামাগণ জগতের শান্তির জন্য প্ৰতিবৎসর প্রার্থনা করিয়া থাকেন। র্তাহারা শান্তির পক্ষপাতী হওয়ায় মোঙ্গলিয়া প্ৰভৃতি স্থানে যুদ্ধের বিকট হুঙ্কার শুনা যায় না। এই সমস্ত বৌদ্ধ সন্ন্যাসীর চেষ্টায় জঙ্গিস খাঁ ও কুৰিলে খাঁর বিরাট বাহিনীর বংশধরগণ ধীর কৃষকের ন্যায় গোবীমরুভূমির পার্শ্বদেশে হলকর্ষণে নিযুক্ত রহিয়াছে। যাহারা এক দিন এসিয়ার ত্ৰিচতুর্থাংশ ভূখণ্ড ও অৰ্দ্ধ ইউরোপে রক্তস্রোত প্রবাহিত করিয়াছিল, সজীব বুদ্ধ ও র্তাহার লামাগণের শান্তির প্রার্থনায় আজ তাহারা মরুভূমির বক্ষে শস্যোৎপাদনে ব্যাপৃত। সজীব বুদ্ধ মোঙ্গলিয়ার ধৰ্ম্মজগতের নেতা হইলেও তিনি চীন রাজ্যেরও শান্তিবিধাতা । তাই আজ চীন জগতের চক্ষে অকৰ্ম্মণ্য বলিয়া ঘোষিত ! যাহার এককালে আৰ্দ্ধ এসিয়ার প্রভু ছিল, আজ তাহারা এরূপ অপদাৰ্থ কেন ? প্ৰকৃত প্ৰস্তাৰে তাহারা অপদাৰ্থ নহে। শান্তিময় বৌদ্ধধৰ্ম্মের প্রভাবে তাহারা কেবল নিজ রাজ্যে নহে, কিন্তু সমস্ত জগতে শান্তিস্থাপনের পক্ষপাতী। তাই মোঙ্গল ও চীনাবাসিগণ কেবল কৃষি ও শিল্প লইয়াই জীবন যাপন করিতেছে। নতুবা জঙ্গিস খাঁ ও কুবলে খাঁর যোদ্ধবর্গের বংশধরগণ অস্ত্ৰধারণ করিলে এসিয়াখণ্ডে যে মহাপ্ৰলয়ের সুচনা করিতে পারে, ইহা অস্বীকার করা যায় না। দুঃখের বিষয় এই শান্ত জাতি এক্ষণে কিছু অধীর হইয়া উঠিয়াছে। ইংরেজের তিব্বত প্রবেশই এই অধীরতার কারণ। রুসিয়ার গ্ৰাস হইতে তিব্বতকে রক্ষা করার জন্য ব্রিটিশ গবৰ্ণমেণ্ট তিব্বতে সৈন্য প্রেরণ করিয়াছেন, তদ্ভিন্ন তাহদের বাণিজ্যব্যাপদেশও আছে। কিন্তু তিব্বতীয় ও মোঙ্গলগণ ইহাকে তাহদের ধৰ্ম্মের অবমাননা বলিয়া মনে করিাতেছে । বহু শতাব্দী ব্যাপিয়া যাহারা নিরাপদে শান্তি ভোগ করিতেছিল, , ইয়ংহজব্যাণ্ড অভিযানে আজ তাহারা বিচলিত হইয়া উঠিয়াছে, আজ তিব্বত হইতে অনেক যাত্রী মোঙ্গলিয়ায় গমন করিয়া ইংরেজের তিব্বত প্ৰবেশের বার্তা প্রচার করিতেছে। দলে দলে লামাগণ উর্গার সজীব বুদ্ধের নিকট উপ - স্থিত হইতেছেন, সেই পঞ্চবিংশ সহস্ৰ বৌদ্ধ সন্ন্যাসী উর্গায় উপস্থিত হইয়া সজীব বুদ্ধের মন্দিরে সমবেত হইয়াছেন। তাহদের ধৰ্ম্মের অবমাননা হইল - ,