পাতা:ঐতিহাসিক চিত্র (ষষ্ঠ বর্ষ) - নিখিলনাথ রায়.pdf/৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

दछ-नाश्Cिड5ा ७2फूङखु ७ ठे डि5३ाम । 8 শিক্ষা করিয়াছি ইহা বলিতেই হইবে । কারণ ইহা পাশ্চাত্য পণ্ডিতগণের অভ্ৰান্ত সিদ্ধান্ত । যাহা হউক সেমিটিকের তা আমাদের অক্ষর শিখাইল। তাহার পর তাঙ্গা ক্ৰমে অশোকলিপি, গুপ্তলিপি, বঙ্গ লিপি, দেবনাগরলিপি ইত্যাদিতে পরিণত হইল । ইহাদের ঐক্য প্রদর্শনের জন্য নানারূপ ব্যাপার ও প্ৰক্ৰিয়া চলিতেছে । অবশ্য তেজষ্ঠ্য ঊর্তাহারা যেরূপ উদ্যম করিতেছেন, তাছা যে প্ৰশংসনীয় তাহ কেহই অস্বীকার করিতে পারে না । কিন্তু তাহারা তাহার বলে অনেক স্থলে যেরূপ সিদ্ধান্ত করিয়া বসিতেছেন ও তাহাকে অভ্রান্ত বলিয়া প্রচার করিতে সাহসী হইতেছেন, তাহা যেন কেমন কেমন বোধ হয় । বৰ্ত্তমান লিপি অনুসারে সেই প্ৰাচীন লিপির অক্ষার স্থির করিতে হয় । তাহদের আকার কোন স্থলে একটি রেখা, কোন স্থলে একটি বিন্দুমাত্র, আবার শত শত, সহস্ৰ সহস্ৰ বৎসরে তাহার। অনেক স্থলে ক্ষয় প্রাপ্ত হইয়। অন্য আকার ধারণ করিয়াছে । সেই সমস্ত অক্ষর আমাদের বর্তমান অক্ষরের সাদৃশ্যে পাঠ করিয়া তাহার সারোদ্ধার করিতে হইবে । তাহতে কোন স্থলে “ক” “র’ হইতেছে, ‘বি’ ‘চ” হইতেছে। কিন্তু তেঁাহারা তাহদের যে পাঠোদ্ধার করিবেন, তাহা মানিয়া লইতেই হইবে। যদি কেহ তাহাতে আপত্তি উত্থাপন করেন, অমনি তাহারা বলিবেন যে, লিপি-বিজ্ঞান স্থির হইয়া গিয়াছে । তাহ রসায়ন বা পদার্থবিদ্যার ন্যায় অকাট্য । লিপি পাঠের বিজ্ঞান স্থির হইতে পারে, কিন্তু বিজ্ঞানধিভ্রাট ও যে ঘটতে পারে। ইহা কি ঠাইরা অস্বীকার করেন? দৃষ্টান্ত স্বরূপ এখানে আমরা একটি বিষয়ের উল্লেখ করিতেছি। অনেকেই জানেন, কুঠীয়াল নাগরী আকার ইকারের বড় ধার ধারে না। কেবল ব্যঞ্জনবর্ণ গুলির সমাবেশে প্ৰায় অধিকাংশ শব্দেরই অর্থগ্রহ হয় । কুঠীয়াল নাগরীর এইরূপ বিজ্ঞান স্থির হইয়া গিয়াছে ! কিন্তু এই বিজ্ঞানবিভ্রাটের একটি গল্প বলিতেছে। একটি লোক বাটীতে পত্ৰ লিখিলে, “চচ অজমর গয়া” লেখকের উদ্দেশ্য থাকিল “চাচা আজমীর গেয়া” অর্থাৎ চাচা আজমীর গিয়াছেন। পাঠক বুঝিয়া লইল, “চাচা আজি মর গেয়া” অর্থাৎ চাচা আজি মরিয়া গিয়াছেন । ইহাতে তাহদের বাটীতে কান্নাহাটি পড়িয়া গেল। ঐ রূপ বিজ্ঞানবিভ্রাটে আমাদেরও যে, অনেক