পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ওপৰেেৱশর অন্যালো বুকের নীচে রেখে উপুড় হ'য়ে ঘুমেন, বাড়ীতে খাওয়া দাওয়া সমস্ত শেষ হলে অন্দর মহলে ঢোকেন ; দেবেশ নিতাই-সাপুড়ের কাছ থেকে একটা জ্যান্ত বিষধর কেউটে নিয়ে এসে, তার মুখ আটকে রেখে সেই বৈঠকখানার জানেলর ভেতর দিয়ে সেটিকে সদায়েশের বিছানায় গলিয়ে দেবেন- এবং তার মুখের বঁাধ খুলে দিয়ে নিজে সরে পড়বেন। কেউটে ভীষণ ক্রদ্ধাবস্থায় হৃদয়েশকে সম্মুখে পেয়ে তাকে কামড়িয়ে মারবে ।” এমন কত রূপ ফন্দী তার মনে আসল— তা লিখে ওঠা কঠিন । কখনও কখনও মন নানা চিন্তায় কোমল হ’য়ে পড়ে, তখন মনে মনে বলেন “দাদা, তুমি আমায় মারলে। আমরা দুজনে এক মায়ের পেটের ভাই, ছোট বেলা ঘুড়ি উড়তে যেয়ে মাঠের মাঝখানটায় আমি একদিন পড়ে গিয়ে পা কেটেছিলুম-তুমি কত স্নেহে আমব রক্ত বন্ধ করে, দুৰ্বাঘাস খেতে ক’রে পায়ে লাগিয়ে দিয়েছিলে, এবং আমি কাটা পা নিয়ে হাঁটুতে পারিনি দেখে তুমি আমাকে কোলে ক’রে বাড়ী নিয়ে এসেছিলোঁ,-তুমি আমাব থেকে বেশী বড় নও, আমার ভার বইতে পারার মত সামর্থ্য ছিল না, তথাপি ছোট ছোট হাত দিয়ে আমায় জড়িয়ে ধরে কত স্নেহে হঁপাতে হাপাতে নিয়ে এসেছিলোঁ ! হায় সেই তুমি আমায় খুন করুতে দাড়ালে!' তখন দেবেশের কান্না পেতে লাগল। কিন্তু অধিকাংশ সময়ই তার মন ক্ৰোধে উত্তেজিত থাকতো । এই উত্তেজনার ক্ষুধা চলে গেল, চােখের ঘুম চলে গেল। একটু তন্ত্রার মত হ’লে কত বিভীষিকা • u r 11 তে থাকতেন। একদিন দেখলেন, “নববৃন্দাবনের দুটাে কৃষ্ণ চুড়ার গাছের গোড়ার সঙ্গে হৃদয়েশের হাত পা তিনি শক্ত ক’রে বেঁধে ফেলেছেন, তার পর দুখানি ধারাল ছোরা SSNS