পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাত্রে সে গাছের উপব বসে এমনই একটা রব করত, যে তা ঠিক নাকী-সুরের কান্নার মত শোনায়। এক ঘণ্টা আধা ঘণ্টা প্যাচাটা ঐরূপ আওয়াজ করে, সে গাছ ছেড়ে চলে যেত। এখন কবুল খাঁ। সে দিন সাবল নিয়ে এসে যখন মৃত দেহটা দেখতে পেলেন, তখন নিশ্চয়ই ঠাওরাল মড়াটা ভূত হ'ক্সে গেছে। ঐ পথে আসতে রাজার ও তার গা যেন ছমছম করত। মনের যখন এই অবস্থা, তখন প্যাচার কান্নাটা প্যাচ টার সুরাটা অতি বিকট ছিল এবং তাতে ‘হুম, হুম’একটা শব্দ কান্নার পেছন পেছন শোনা যেত, যেন কেউ সেই উৎকট কান্নার সঙ্গে লয় ক’রে তাল ঠুকছে, এমনষ্ট মনে হ’ত । গাছের দুটাে ডাল সেই সময় ঝড়ের বেগে উঠছিল, পড়ছিল ; কবুল খাঁ ও রাজক্তবালির কল্পনা-শক্তি সেই দুটো ডাল দিয়ে ছোট বাবুর হাত পায়ের সৃষ্টি ক’রেছিল । হৃদয়েশ কবুল খাকে একবারে অগ্ৰাহ ক’বে বিদায় দিলেন, বল্লেন “তুই চিরকালের ভীরু, আমি বিলক্ষণ জানি।--দেহটি! মে আন্দো; জ। লম্বা চওড় করেছিস-সেই পরিমাণ যদি মনের জোর থ, কতো, তবে ভাপনা কি ছিল ? তুই তার দেহ'টা যে কি করেছিস্ ত্ ! আমি এখনও ঠিক করতে পারি নাই । যা” বাড়ী গিয়ে তুষ্ট বাজার কাছে আর তোর বউয়ের কাছে এসকল গল্প বুলগে, তারা তোর কথা বিশ্বাস করবে।” কবুল খাঁ ক্ষিপ্তের মত উত্তেজিত ভাবে ৬ান হাতটা ভূয়ে ঠেকিয়ে সেলাম করতে করতে বল্লে-“কৰ্ত্তা। আপনি চাচ্ছেন মা বাপ, আমি যদি স্বচক্ষে "তানাকে না দেখে থাকি, নিজের কানে যদি তাব কান্না না শুনে থাকি, তবে আমি আক্রমালিসেখের ব্যাটাই নাই ।” আরও নানারূপ শপথ উচ্চারণ করে কবুল খাঁ চলে গেল । ঈদয়েশের মনে দুষ্ট একটিবার এই চিন্তাটা হ’ল—যদি দেবেশ ভূত SO'S