পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শুপাশেৱৰৱ অসমালো টাকার সমস্তই দেবেশ রাধামাধবের সেবায় ব্যয় করতেন। মাধবের বাণীর মকর মুখটি শীঘ্রই সোনীর হয়ে গেল, অতি সূক্ষ্ম সোণার তার দিয়ে বাধাজীর নীলাম্বরীর পাড় তৈয়ারী হ’ল; তঁর কাণে দুটি মুক্তার দুল হ’ল। কিন্তু ভক্ত যেরূপ ক’রে ভগবানকে সাজালেন, ভগবান ভক্তের প্রতি তদনুযায়ী কৃপা করলেন না ; শ্যামলেশের পায়ের একজোড়া জুতা কখনই চ’লনা ; আর তুলসীদেবীর শােধাবােড়া সােনা দিয়ে কোনকালেষ্ট মােড় হ’ল না । এদিকে “শীতল-ভোগ’ বেশ বড় রকমের হ’ল ও সন্ধ্যার আরতিতে বালকদের কোলাহল বেড়ে গেল। অনেক ভেকধারী, ও ছাপমণ্ডিত বৈষ্ণব সন্ধ্যায়। সেই “শীতলের” প্ৰত্যাসী হ’য়ে উপস্থিত হতে লাগল। এই লোক সমাগমে দেবেশও তার স্ত্রী প্রকৃতই আনন্দিত হ’তেন । “আমাদের রাধামাধবের এই প্ৰতিপত্তি বেড়েছে, এ না হয়েই যায়না । এরা হচ্ছেন “জাগ্ৰত দেবতা”। এই গর্ব সৰ্ব্বদাই দেবেশকে উৎসাহিত ক’রত । কিন্তু এ ছাড়াও দেবেশের আর একটা আত্ম হয়েছিল, তাঙ্গা বলছি । শিশুকালে দেবেশ বরাহনগরে তার এক পিসির বাড়ীতে ছিলেন, সেইখানথেকে ঠুমারে গিয়ে তিনি কুলিকাতার একটা চিত্ৰ-বিদ্যালয়ে *:ড় তেন ৷৷ ৩৪ বৎসর আর্টস্কুলে পড়ে তিনি ছবি আঁক! শিখেছিলেন । অবশ্য তিনি যে খুব ওস্তাদ চিত্রকর হয়েছিলেন তা নয়, কিন্তু তিনি ছবিগুলিতে একটা ভাব দিতে পারতেন তাতে ছবিগুলি আর ছবির মতন থাকত না, সেগুলি যেন কথা কহঁত ! তুলির কোন টানে সেভােব ফুটুত, তা তার অনুকরণকারীরা চেষ্টা করে ও বুঝতে পারত না । দেবেশ তাদেৱে প্ৰাণপণে বুঝোতে চেষ্টা করে ও বুঝোতে পারতেন না । তাৰা ৩াবত, দেবেশবাবু নিজে এই বিস্তাটি অজ্জন করে গোপন করছেন, এ কারুকে শিখাবেন না। কিন্তু এ সন্দেহ সম্পূর্ণ অমূলক ।