পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ওপারেন্দ্রর অমালো দুটাে হাত পেছন-মোড়া করে না বেঁধে ফেলত, তা হ’লে তার হাতেই । মুরগীর ন্যায় আমিও সেইখানে জবাই হ’তেম। কিন্তু মিছির তাকে ধরে রাখতে পারলে না, --তার পেটে এমনই জোরে হঠাৎ পদাঘাত করলে যে মিছির চিৎ হ’য়ে পড়ে গেল এবং সেই অবসরে সে দে চুটা। আর ধরলেই বা কি হ’বে ? ধরূলে বা পুলিসে খবর দিলে হয়ত কছাৰী বাড়ীটা রাত্ৰিতে এসে জালিয়ে দিয়ে যাবে। মহারাজ এ সময় আসাতে বড়ই অসোয়াস্তি বোধ কৰেিছ।” বাজাবাবু এর উত্তরে কিছুই বল্লেন না,-একটি পাইককে গ্রামে পাঠিয়ে এঈ বলতে আদেশ কল্লেন যে কাল সকালে রাজাবাবু স্বয়ং তাদের *igiध्र शांg १न । নায়েব প্ৰতিবাদ করতে সাহস কলে না, - তবে ভাৰলে, কলেজে পড়ে লেখা পড়া শিখছেন-এরা সংসারের কিছুই জানেন না, অথচ বেপর ওয়া, যেন সব জান্ত । পরদিন যখন পাইক সন্দার সেপাই তেঁার সঙ্গে সঙ্গে বাওনা হ’বে, তিনি নায়েবকে বল্লেন-“তুমি বলছি, বিদ্রোহীদের নেতা ভানিফ, সেখ, তার বাড়ী যাওয়ার পথটা ভাল ক’রে বলে দ্য ও ” নারেব বলে, “লোকজন সঙ্গে যাচ্ছে, তারা পখ দেখিয়ে নে যাবে।” বাজাবাবু বলেন “আমি কাউকে সঙ্গে নেবন, এক যাব।” जकलछे उबाक श्'cक्ष (१० । তখন একটা লাল নীল পেন্সিল দিয়ে রাজাবাবু পকেট বইএর একটি পাতায় সেই গ্রামখানির একখানি ম্যাপ এবং বড় বড় প্রজাদের বাড়ী ও তস্যায় যাবার পথ ঘাট এ কে নি:স্ত্র একা সেই গ্ৰামাভিমুখে রওনা হয়ে গেলেন । সেপাই-লোক-লস্কর তার পথের দিকে ভয়ে ও বিস্ময়ে চেয়ে রাষ্ট্ৰ’ল, শুধু নায়েবের প্রাণটা একটা অব্যক্ত ভয়ে কঁাপিতে লািগল—তা” জমিদারের বিপদের কিংবা নিজের বিপদের আশঙ্কায় তা বোঝা গেল না ।