পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ܦܐܦܐ ঝাপ দেওয়ার সঙ্গে চারদিকে, সেই নীল কালো জলের পর্ব ৩ উঠেছে। দূরে রাখাল-বালকের মৃতপ্রায় হইয়া পড়ে আছে। তারপর ২. কৃষ্ণকে সাজিয়ে গোষ্ঠে পাঠাচ্ছেন, বলরাম এক হাতে শিঙ্গা ধ’রে, আর হ৷ কঁকালে রেখে প্ৰতীক্ষার ভাবে দাড়িয়েছেন। দূরে রাখাল বালকদের কাহারও পাচন বাড়ী সমেত হাতখানি, কারও বা মাথার রঙ্গিন পাগড়ী, কারও কী পীতধড়া, কারো প্রেমাদ্র চক্ষু দুটি- এই সমস্ত মিশে একটা অপূৰ্ব কমনীয় বৰ্ণ বৈচিত্র্য প্রস্তুত করেছে। কেবল যশোদা ও কৃষ্ণের প্ৰমাণ মূৰ্ত্তি দর্শকের নিকট অতি সুস্পষ্ট ভাবে ব্যক্ত হয়েছে। কৃষ্ণের অলকাতিলকা শোভিত মুখখানি যেন বিশ্বের সমস্ত সৌন্দৰ্য্য ছেনে তৈরী হয়েছে, তা’র দিকে মাতৃ হৃদয়ের সমস্ত ব্যাকুলত নিয়ে যশোদার দুটী চক্ষু সুধা লোভী চকোরের মত পড়ে আছে। তারপর গোষ্টের ছবি, কোন রাখাল একটা গরুর লেজ, মুচড়িয়ে ধরে ছুটছে। গরুটা ছুটছে ; রাখাল তার সঙ্গে যেতে পাচ্ছে না, দুটো পা ফাক হয়ে পড়েছে, অপর অপব রাখালেরা তাই দেখে হাত তালি দিয়ে টিটকারী দিচ্ছে । একটা ছবিতে কৃষ্ণকে কাধে করে কোন রাখাল দৌড়িতে গিয়ে পড়ে যাচ্ছে, ময়ূরের পাখার চুড়ো শুদ্ধ কৃষ্ণ পড়তে চলেছেন, তার একটা পা রাখলের গলােটা ऊँ75 क्ष'पद्ध अछि । কোনটিতে রাখালগুলি মিলে সবে একপায় দৌড়িয়ে যাচ্ছে, কৃষ্ণ বলরাম সববায়ের আগে আগে । 乳 এর পর রাধা কৃষ্ণের লীলার শত শত ছবি। দেবেশবাবু রাত দিন ক’রে সেগুলি একেছেন। সুন্দর-গঞ্জের হাট হােতে বাবাজি রং তুলি প্রভৃতি সরঞ্জাম কিনে এনে দিচ্ছেন, বাগানের অপরাপর সমস্ত কাজ তিনি কচ্ছেন—এই ব্যাপারে তিনি ও যথোচিত শ্রমের জটি করেন নাই। বড় বড় বাখারি টেছে, তা তেলে ডুবিয়ে রেখে, সেই বাখ্যারিতে নানা উপকরণ লাগিয়ে বাবাজি সেগুলি এমন শক্ত ও পাকা করেছেন, যে তাতে কোন SQ NSO