পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
ওপারের আলো

অম্পঃই আভান পেতেন। কিন্তু পরত্ত্রী সম্বন্ধে এপ কোন কথা৷ মনে হ'লে সেটা তিনি মনের কল্পনা বলেই উড়িয়ে দিতেন, এই তাবে আরও ছুিন চলে গেল । এই ছুই দির্ঠরর মধ্যে কিশোর রায়ের স্পট ধারণ! হ'ল, তিনি বখন বারেগায় পারচারি করেন, তখন মহিলাটির ছু”টি চোখ,ত্ার অনুসরণ করে। তিনি যখন ওমধ ও পথ্য দেওয়ার জন্ত রুণ্রীর বিছামনার খুব কাছে আসেন, তখন শালের মুড়ি সুড়ি সব্বেও তার শঙ্মীরটা যেন কেঁপে উঠে। এক- দিন রাত্রে মহিলাটি একটু থুমিয্্ছেন,--সেই খুমের ঘোরে তার একখানি পা হ'তে শালটা একটু ধরে গেছে । অজ্ঞাতসারে তার চোখ, ছুটি সেই পা খানির উপর গিষ্ পড় ল--এই প! তার চির-পরি- চিত,. ভার প্রেমের আশা-সরসীর্‌ চির-ইন্পিত মুক্ত শতদল) এ পাদপন্সে কি ভ্রম হ'তে পায়ে? এ যে সিন্দুরতলার রাজগ্রসাদের সোনার চাপা! সে দৃষ্টি আর ফির্ঙ না, কিশোরানন্দের মাথা ঘুরে গেল। উন্মত্তের দৃষ্টিতে তিনি সেই: শালের জড়াও পাড় হ'তে মুক্ পঞ্চদল রক্র-পল্মের মত পা খানিক্ঈ প্রতি তাকিয়ে রইলেন । অনেক দিন চোখের “জগ পড়তে দেন নাই, আঙ্জ চোখের জল ঠেকিয়ে রাখতে পারলেন না) ক্কারণ কিশোরানন্দ যে সিন্দুর- তলার কিশোর রাম সে সন্বন্ধেও যেমন ভুল হ'তে পারে না! এ মহিলাও যে জ্ঞানদায়িনী--সেই পা, খানি দেখে তার আর ভুল রইল না।

১. তথাপি তিনি ধীরে ধীরে নিজেকে সংবরণ কল্লেন। এরমণী যে কেন তাকে আড়াল থেকে দেখে চকিতে চক্ষু শালে ঢাকা দেন, কেন তীর পাদ-বিক্ষেপের সঙ্গে খবহিলার চিত্তবিক্ষেপ হয়-এটি

আভাসে বুঝতে পারুলেন।

৩৩৪