পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Veget vartes রাত্রি ১০ টা বেজে গেল। রমণী ঘুম ভেঙ্গে পাখানি তাড়াতাড়ি * শাল দিয়ে আবৃত করলেন । ঘুমের আবেশে ডান হাতখানি একবার বের ক’রেছিলেন, তখন কিশোর রায় হাত দেখতে পেয়েছিলেন, এ দুইদিনের মধ্যে অবশ্য ইচ্ছা করলে তিনি পূর্বেই এই অমূল্য আবিস্কার করতে পারতেন, কিন্তু লজ্জাশীল কুলবধু মনে করে তিনি মহিলার নিকট হ’তে দূরে দূরে-চোখ দুটির দৃষ্টি বিপরীত দিকে রেখে—ঐ গৃহের কাজকৰ্ম্ম করেছেন, এজন্য তিনি দেখতে পারেন। নাই। * আজ পা”খানি ও ডান হাতের কয়েকটি আঙ্গুল দেখে তার নিশ্চয় প্রতীতি হ’ল, এ তারই জ্ঞানদারিনী দেবী । পিয়ানো বাজাবার সময় বারং বার শুভ্ৰ কুন্দনিভ। এই কয়েকটি আঙ্গুলের মধুর চপল গতি তো তিনি কতবার লোলুপ চক্ষে প্রত্যক্ষ ক’রেছেন—এতে कि डुव्न श्'हङ °ाहन्न ? এবার হৃদয়ের কাছে সম্পূর্ণরূপে পরাজয় স্বীকার ক’রে তিনি রুগ্নার শিয়রের নিকট উপবেশন ক’রে বল্লেন “তুমি জ্ঞানদা” এ সম্বন্ধে আমার সন্দেহ নাই, একবার ঘোমটাটি খোল—নতুৰা আমি খুলি, তুমি অনুমতি কর।” আস্তে আস্তে জ্ঞানদা নিজেই ঘোমটা খুল্লেন-- তার চক্ষু দুইটি জলে ভরা; তিনি চােক্ষের জল মুছলেন না। হাত জোড় করে বল্পেন“ক্ষমা কর” এই দুইটি শব্দ যে এক ভাণ্ডায় খুলে দিল,-“আমি তোমার কোন অপরাধ ক্ষমা করি নাই জ্ঞানদা। —জ্ঞানদা, তুমি ক্ষমা কর, আমি তোমায় চাবি বন্ধ ক’রে তাড়িয়েছি, আমায় ক্ষমা কর।” এই বলে কিশোর রার কঁদতে লাগান, জ্ঞানদা পুনরায় বল্লেন, “আমার বুকে, অসহ বেদনা হচ্ছে, এইবার আমার শেষ।” কিশোর রায় ডাক্তার ডাকবার জন্য উঠতে গেলেন, জ্ঞানদী NSCSQ