পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

vset ots কারের আত্মগোপন করবার যে কত দরকার ছিল, তা কাঞ্চণ-নগরে মহাপ্রভুর সহিত শশীমুখীর আলাপ ও তার স্বামীকে ধ’রে রাখবার চেষ্টা হ’তেই বোঝা যায়। ঈশ্বরপুৰী কেন হঠাৎ একজন শূদ্র চাকরকে পাঠিয়ে দেবেন ? এই ছদ্মবেশ গ্ৰহণ না করলে গোবিন্দ কিছুতেই পুৱীতে টিকৃতে পারতেন না। তাকে পুনরায় কাঞ্চণ-নগরে আসতে হত । দুই একটি কথায় বাবাজি গোঁসাইকে বৈষ্ণব ধৰ্ম্মের অনেক সুন্মকথা বুঝিয়ে দিলেন। গোঁসাই বিনীত ভাবে বল্লেন, “প্রথম দুই একদিন তাে আমি এই সকল বিষয়ে কতকগুলি ভ্ৰান্ত ধারনা স্পৰ্দ্ধা ক’রে বলেছিলেম, তখন সাধুবাবা আমায় প্রশংসা করেছিলেন।” বাবা জি. . . . . “করেছিলেম বই কি ? আপনার শিষ্যেবা উপস্থিত ছিলেন, তঁদের কাছে আমার ক্ষুদ্র বিদ্যা দেখিয়ে আমি আপনাকে ছোট করে দেব ! উঠার পর যে আমার কথাই ঠিক, তাব নিশ্চয়তা কি ? ধৰ্ম্ম সম্বন্ধে অকপটে প্ৰাণের ব্যাকুলতায় যে যাহা বিশ্বাস / করে তাতে তার উপকার হয়, সুতরাং আপনার মত প্রকাশ্য ভাবে অগ্রাহা কুল্লা উচিত মনে করি নি - তাহলে আপনি মনে আঘাত পেতেন, * আমার একটা স্পৰ্দ্ধা জন্মিতো । তা’ করতে নাই, কারার মনে আঘাত দিতে নাই, স্পৰ্দ্ধা করে কারু মত খণ্ডন করতে নাই । আমি আপনার প্ৰবল উদ্দীপনা ও বিশ্বাসের প্রশংসা করেছি, তা’ অকপটে করেছি, এখনও ক’রে থাকিশ শৰ্ম্মসুতরাং প্রশংসা করে ছলনা করি নাই ।” বাবাজি এই ব'লে হাসতে লাগলেন, এবং শেষে আবার বল্লেন, “ঐতিহাসিক বিষয়ের মতভেদ থাকতে পারে ভয়ত আমি যা’বুঝালেম, সবই ভুল ; কিন্তু তাই বলে ভক্তি-শ্রদ্ধার মূল্য একটা আছে। এই দেখুন না গোঁসাই ! মানুষ মানুষুকে কত ভালবাসে, কিন্তু দুইজন প্রণয়ীর উভয়েই জানে তাদের ভিতরে শুধু কঙ্কাল, মজ্জা ও বাশা, তবুও একের লাবণ্য অপরে O6