পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একজনে বলেছেন। অপরাহ্নে তিনি স্বৰ্গারোহণ করেন, অপর জনে ব’লছেন, রাত্ৰি সাত দণ্ডে । খিল দেওয়ার সময় ও খিল খোলার সময় লইয়া এই পার্থক্য । আমার মনে হয়। অপরাহ্নই ঠিক, কারণ তিরোধান হওয়ার পর খিল দেওয়া হয়েছিল। তারিপ, সন প্ৰভৃতি সকল মতেই একরূপ । মঙ্গাপ্রভুর বর্ণাশ্রম মানা সম্বন্ধে বাবাজি বল্লেন, “যিনি সাক্ষাৎ ভগবানের পূর্ণ প্ৰেম জগতে-”আচণ্ডাল সকলের নিকট-বিতরণ করেছেন, তার কাছে আবার জাতিভেদ কি ? তিনি ব্ৰাহ্মণের পাদোদক খেয়েছিলেন, সে কেবল বিনয় । এই বিনয় ও দাস্য দেখাতে তিনি গঙ্গাতীরে সকলের ফুলের সাজি মাথায় বহন করে নিয়েছেন ; পরের ময়লা কাপড় নিজ শ্ৰীহস্তে নিঙ্গড়িয়ে দিয়েছেন । হরিদাস তপ্ত বালুর পথে তার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন-ইহাতে তিনি তার বিনয়েরই প্ৰসাংসা করেছিলেন । তিনি সেখানে স্পষ্ট ক’রে বলেছিলেন যে “তোমার ভক্তি ও প্ৰেম এতবড়, বে। দেবতারা ও তোমাকে স্পর্শ করলে পবিত্র হন।” একি আর জাতিভেদের সমর্থন ? তিনি হরিদাসকে শ্রাদ্ধের আসরে বামুন পণ্ডিতের মত বিদায় দেওয়াতেন । সপ্ত গ্রামের রুকায়স্থ কালিদাস যখন, নমশ্বদের এটো খেয়েছিলেন, তখন তিনি তা শুনে প্ৰশংসা করেছিলেন। চৈতন্য ভাগবতের এই উক্তি অবশ্যই জানেন “প্ৰভু কহে যে জন ডোমের অন্ন খায় ! হরিভক্তি হরি সেই পায় সৰ্ব্বথায় ।” ডোমকে লোকে এত দুণ ক’বে থাকে, যে এই ঘূণা জয় না করলে কৃষ্ণ-প্রেম হতেই পারে না । শ্ৰীগোবিন্দ সম্বন্ধে বল্লেন,-“আমার বিশ্বাস গোবিন্দ কৰ্ম্মকারই, এই শ্ৰীগোবিন্দ ৷ জয়ানন্দের চৈতন্যমঙ্গলে দেখা যায় ইনি মহাপ্রভুর সঙ্গে দাক্ষিণাত্যে গেছলেন, কবি বলরামদাস ও সেই কথা লিখেছেন । গৌর পদতরঙ্গিনীর, ৪০৪ পৃষ্ঠায় আছে। ইহার কাৰ্য্যাবলি ও শ্ৰীগোবিন্দের সেবা মিলিয়ে পড়লে দেখতে পাবেন- ইহঁরা একই ব্যক্তি । গোবিন্দ, কন্ম O2N2