পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( SoC ) এই সময়ে নীল পাগড়ি মাথায় বড় একটা লাঠি হাতে, নাগরা বুটওয়ালা জুতা পায়ে, গায়ে একটা মেৰ্জাই, বোতামের জায়গায় সরু সুতার , দড়ি, কপালে রািল--একটি ৩৫-৪০ বৎসরের লোক সেইখানে এসে দাঁড়ালেন। দেবেশ তীর দিকে লক্ষ্য করেন নি । তিনি মাথা নীচু ক’রে নিজের ভাবনাই ভাবছেন । সেই বিদেশী ব্যক্তি তাকে জিজ্ঞাসা ক’রলে,“‘বাবুজি, কানাই বাবার আখড়া এখানে কোথায়,বলতে পারেন!” দেবেশ তা’কে দেখে উঠে দাড়ালেন এবং আঙ্গুল দিয়ে একটি পর দেখিয়ে বল্লেন, “ঐখানে তিনি থাকেন, কিন্তু আপনি :র্তাকে আজ পাবেন না । তিনি ভিন্ন গ্রামে গেছেন, কাল সকালে আসবেন।” “বাবুজি, আমি বৃন্দাবন থেকে এই মেলট্রেণে এসেছি । দুদিন রাস্তায় বড় কষ্টে কাটিয়েছি। ঐ ঘরের চাবি কার কাছে ? চাবি পেলে আজ। এখানেই থেকে যাই ।” বাবাজির প্রতি তীব্র যতই কেন বিমূখত থাকুকনা কেন, তার লোক বৃন্দাবন থেকে এসে অনাচারে একটা খালি ঘরে প'ড়ে থাকবে, এ হ’তেই পারে না । দেবেশ বাবা তাকে আদর ক'রে বল্লেন - “কেন। এখানে থাকবেন ? পাণ্ডাজি, আমার রাধামাধবের সেবা আছে । কানাই বাবাজির সঙ্গে আমার যথেষ্ট আত্মিয় তা আছে। আপনি যদি রাধামাধবের মন্দিরে থেকে আমার আতিথ্য গ্ৰহণ করেন, তবে বড়ই সুখী হ’ব।” । '. বৃন্দাবনের পাণ্ড সন্মত হ’লেন। ধীর পদক্ষেপে নিজের ভাবনায় 6No