পাতা:ওপারের কথা.pdf/৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মানুষের সুখ-শাস্তির তৃষ্ণা অত্যন্ত প্রবল। মানুষ ভালই জানে যে সুখের মত সুখ এ ধরাধামে নাই, কিন্তু প্ৰাণে প্ৰাণে বুঝে সেই তৃষ্ণ মিটিবার বিশেষ সম্ভাবনা কি যেন কি এক অব্যক্ত ও অপ্রকাশিত রাজ্যে যাহার কথা বাল্যকাল হইতে শুনিয়া আসিতেছে । মানুষ কতকটা প্ৰত্যক্ষ করিতেছে যে সুখ। ও শান্তি পাওয়া বা না পাওয়া নিজ নিজ সু বা কুকৰ্ম্ম সাপেক্ষ । এবং জীবদেহস্থিত প্ৰাণ, মন ও আত্মা এখানকার খেলা সাঙ্গ করিয়া কোন এক বাক্য ও মনের অগোচর রাজ্যে ধাবিত হইতেছে। উক্ত মৌলিক তত্ত্বগুলি অবগত হইয়াও অধিকাংশ জীব জড় চিন্তায় ও কাৰ্য্যে অভিভূত ও মায়ামোহাদি জালে বিজড়িত "। র্যাহারা অপেক্ষাকৃত চৈতন্যবিশিষ্ঠ “র্তাহাদের মধ্যে কেহ কেহ সংসারাশিম ত্যাগ করেন ও অবশিষ্ট নর-নারী একুল ওকুল বজায় রাখিবার উদ্দেশ্যে নিজ নিজ অভিরুচি, শিক্ষা ও সংস্কার অনুযায়ী পন্থা অবলম্বনে চির সুখ, চির শাস্তি, চির আনন্দ ও চিরজীবন লাভের জন্য সচেষ্ট হইয়া থাকেন। শাস্ত্ৰ, ধৰ্ম্মপুস্তক, সৎগ্ৰন্থ ও সদুপদেশ এ জগতে অপ্ৰতুল নহে। মানুষ যে একেবারেই সৎগ্ৰন্থ পাঠ করেন না বা সদুপদেশ শুনেন না—এ কথা বলা যায় না। তবুও মানুষের অভাব ও অশান্তির পরিসীমা নাই । চৈতন্য-অর্থাৎ জ্ঞান ও প্রেম