পাতা:ওয়ালেসের জীবনবৃত্ত - যোগেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/১৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ওয়ালেসের খড়গাঘাতে গুপ্তচরগণ হত। ১৩৯ ভ্রাতৃবৃন্দ! আমারই জন্য তােমরা অনাহারে অনিদ্রায় স্থগুিলশয্যায়। অতি কষ্টে দিন যাপন করিতেছ। ঈশ্বরের নিকট আমি কায়মনােবাক্যে প্রার্থনা করি তিনি তােমাদিগের এ দুঃখ মােচন করুন। আমিই তোমাদিগের এ দুঃখের মূল, সুতরাং আমি ইহার প্রায়শ্চিত্ত করিব। আমি একাকী তােমাদের সকলের সমবেত দুঃখরাশি ভােগ করিব। এইরূপ আত্মগ্লানিপূর্ণ চিন্তায় অভিভূত হইয়া পড়িলে শান্তিদায়িনী নিদ্রাদেবী আসিয়া তাহাকে ক্রোড়ে করিয়া লইলেন। সেই বীবদেহ অবসন্ন হইয়া তকমূলে পতিত হইল। পূৰ্ব্ব হইতে তিন দিন ধরিয়া তিন জন ইংরাজ ও দুইজন স্কট – ওয়ালেসের পশ্চাৎ পশ্চাৎ ঘুবিতেছিল। ওয়ালেস সজাগ থাকিতে কেহ তাহাকে ধরিতে সাহস করে নাই। নীচমনা এড ওয়ার্ড প্রকাশ্য সমরে ওয়ালেসকে পরাজয় কবিতে অসমর্থ হইয়া তাহাকে ধরিবার জন্য অবশেষে এই নারকীয় উপায় উদ্ভাবন করিয়াছিলেনপুবস্কারের আশা দিয়া তাহাকে ধরিবার জন্য গুপ্তচর নিযুক্ত করিয়াছিলেন। এই পাঁচ জন এডওয়ার্ড নিয়ােজিত সেই গুপ্তচরগণ। এই পাচজনের সঙ্গে এক টী বালক ছিল, সে তাহাদিগেব জন্য খাদ্যসামগ্রী যােজনা করিয়া দিত। সেই পাঁচজন অদূরে একটী ঝােপের অন্তরালে লুক্কায়িত ছিল। যেই তাহারা দেখিল ওয়ালেস, নিদ্রায় অভিভূত হইয়া পড়িয়াছেন, অমনি তাহারা বনমধ্য হইতে আসিয়া ওয়ালেসকে ধরিল। সুপ্ত সিংহকে জাগরিত কবিলে সে যেমন গর্জিয়া উঠে, সেইরূপ ওয়ালেস, জাগরিত হইয়া তর্জন গর্জন করিয়া উঠিলেন, এবং এক লম্ফে সৰ্ব্বাপেক্ষা যে অধিকতর বলবান তাহার নিকট গিয়া পড়িলেন, এবং তাহাকে ধরিয়া তাহার মস্তক এরূপ বেগে তরু স্কন্ধে প্রক্ষিপ্ত করিলেন যে তাহার মস্তিষ্ক চূর্ণ বিচূর্ণ হইয়া গেল। তাহার পর তিনি নিজ তরবারী লইয়া অবশিষ্ট চারিজনকে আক্রমণ করিলেন। এবং দুইজনকে নিমেষ মধ্যে শমন-সদনে প্রেরণ করিলেন। অবশিষ্ট দুইজন প্রাণ লইয়া পলাইবার চেষ্টা করিতেছিল, কিন্তু ওয়ালেস, দ্রুতপদে গিয়া তাহাদিগকে ধরিয়া