পাতা:ওয়ালেসের জীবনবৃত্ত - যোগেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/১৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

r। ওয়ালেসের বিচার ও প্রাণদণ্ড। ১৫১ স্বদেশের জন্য জীবন উৎসর্গ করিতে ওয়ালেসের মনে যেন অপরি সীম আনন্দ উচ্ছসিত হইতে লাগিল। তিনি একজন যাজক অথবা কনফেসর চাহিলেন, দুরাচার এডওয়ার্ড তাহা তাহাকেও দিলেন না—বলিলেন যে, যে ব্যক্তি ওয়ালেস্ সম্বন্ধে সে কাৰ্য্য করিবে তাহার প্রতি প্রাণ-দণ্ডাজ্ঞা বিহিত হইবে। কিন্তু কান্টর বরীব বিসপ, এড ওয়ার্ডকে ধিক্কার দিয়া তাহার প্রাণদণ্ডাজ্ঞায় ক্ষেপও না করিয়া ওয়ালেসের কন্‌ফেসরের কার্যে ব্রতী হইলেন। রাজা তৎক্ষণাৎ তাহাকে ধরিতে আদেশ দিলেন,-কিন্তু তাহার সহচর মন্ত্রি বর্গ তাহাকে এরূপ কাৰ্য্য করিতে নিষেধ করিলেন।। ওয়ালেস বিশপের নিকট জীবনের কাহিনী কিছুই গােপন না করিয়া সমস্ত ব্যক্ত (Confess) করিলেন এবং নতজানু হইয়া নিজ আত্মাকে ঈশ্বরে অর্পণ করিলেন। বিসপ, পরবর্তী দৃশ্য দেখিতে পারিবেন না বলিয়া বধ্যভূমি হইতে পলায়ন করিলেন। ঘাতকেরা তাহার পর তাঁহাকে বধ্যযপের নিকট লইয়া গেল। তঁাহার হস্তপদ তখনও সুদৃঢ় গৌহশৃঙ্খলে আবদ্ধ-- আজ ত্রিশ দিন ধরিয়া তাহাকে এই অবস্থায় রাখিয়াছে। ওয়ালেস্ লড ক্লিফোর্ডের নিকট তাহার চির-সহচর উপাসনা-পুস্তকখানি ফিরিয়া চাহিলেন। এই পুস্তকখানি কারাগারে লইয়া যাইবার সময়, তাহাব গাত্রবস্তু সহ কারাধ্যক্ষের জিম্মায় রক্ষিত হইয়াছিল। হাড় কাটে যখন তাহার মস্তক সন্ন্যস্ত হইল, তখন তিনি তাহার চক্ষুর সম্মু গে সেই পুস্তকখানি ধরিতে বলিলেন। তাহার নয়ন-সমক্ষে পুস্তক ধরা হইল, তিমি এক দৃষ্টিতে তাহা নিরীক্ষণ করিতে লাগিলেন। যতক্ষণ চৈতন্য বহিল, ততক্ষণ 'তিনি, মাতৃদত্ত এই উপাসনা পুস্তকের দিকে ভক্তিভাবে তাকাইয়া রহিলেন। এদিকে ঘাতকেরা তাহাদিগের নৃশংস কাৰ্য্য সাধন করিয়া ফেলিল। আজ ইংলণ্ডের বধ্যভূমিতে স্কটলণ্ডের গগনের চাদ রাহুগ্রস্ত হইলেন। আজ বসুমতী বীররক্তে উক্ষিত হইয়া প্রচণ্ডমূর্তি ধারণ করিলেন। আজ ইংলণ্ডের বক্ষ সেই রুধিরানলে পুড়িয়া ছারখার হইল! ২৩ এ আগষ্ট ভীষণ নৃশংসতার সহিত এই বীরমেধ

  • * *