পাতা:ওয়ালেসের জীবনবৃত্ত - যোগেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ওয়ালেসের বাল্য ও যৌবন। করিতে পরামর্শ দিলেন। ওয়ালেস্-জননী পুত্রসহ উদাসিনীবেশে তীর্থপৰ্যটনব্যপদেশে নানা স্থান পৰ্যটন করিয়া অবশেষে দুনিপেসে আসিয়া উপস্থিত হইলেন। এখানে তাহারা সাদবে পরিগৃহীত হইলেন, এবং যত দিন না তাহাদিগের অদৃষ্টদেব প্রসন্ন হন, তত দিন তথায় থাকিতে অনুরুদ্ধ হন। অভাগিনী জেন এই খানেই লাউডনি পাহাড়ে শােচনীয় যুদ্ধবার্তা শ্রবণ করেন। এই যুদ্ধে তদীয় পতি ও জ্যেষ্ঠ পুত্র ইংরাজগণ কর্তৃক হত হন। পিতা ও জ্যেষ্ঠ ভ্রাতাব মৃত্যু সংবাদ শুনি ওয়ালে নিতান্ত শােকাতুৰ হইলেন। পরশু বাম যেমন পিতৃহন্তা ক্ষত্রিয়ের রুধিবে পিতৃতপণ করিয়াছিলেন, আমাদিগের নবীন বীর সেইরূপ আজ পিতৃঘাতী ইংরাজের বক্তে পিতৃশােকানল নির্ধাপিত করিতে কৃতসঙ্কল্প হইলেন। চতুর্দিকে দেশ শত্রুগণ কর্তৃক উৎপীড়িত হইতেছে শুনিয়া তাহারা দুনিপেসের আতিথ্য পরিত্যাগ করিতে বাধ্য হইলেন। অাশ্রয়দাতার নিকট ওয়ালেন বলিলেন “আমার পিতা ও ভ্রাতা ইংরাজগণ কর্তৃক হত হইয়াছেন, আজ আমি ঈশ্বব-সমক্ষে শপথ কবিয়া বলিতেছি, যদি আমি জীবিত থাকি ত নিশ্চয় ইহার প্রতিশােধ লইব।” দুনিপেস পরিত্যাগ করিয়া তাহারা আপনাদের আবাসভূমি এলালি দুর্গে উপস্থিত হইলেন। তথায় ওয়ালেনের সহিত তদীয়মাতুল সাব রােনাল্ড ক্রফোর্ডের সাক্ষাৎ হইল। তিনি তৎকালে আয়াবের গবর্ণর পার্সীর তত্ত্বাবধায়কতায় তথায় অবস্থিতি করিতেছিলেন। কাতবা জেন, তাহাদিগের জন্য পার্সীর নিকট হইতে শান্তি ভিক্ষা করিতে ভ্রাতাকে অনুরােধ করিলেন; কিন্তু ওয়ালে তাহাতে সম্মত হইলেন না। তিনি এরূপ সময়ে শত্রুর নিকট শান্তি ক্রয় কবি প্রতিহিংসার দিন আলস্যে যাপন করা কাপুরুষের কাৰ্য মনে করিলেন। তিনি জননীকে এলসলি দুর্গে রাখিয়া মাতুলের সহিত রিকার্টনস্থিত বৃদ্ধ পিতৃব্য সা রিচার্ডের দুর্গে গমন করিলেন। আর্ভিং নদীর তীরে একটা উচ্চ স্থানে এই রিকার্টন দুর্গ অবস্থিত ছিল। ওয়ালেসের পিতৃব্যের পৌত্র জন ওয়ালেসের, সমীপবর্তী ক্রেগী দুর্গের উত্তরাধিকারিণীর