পাতা:ওয়ালেসের জীবনবৃত্ত - যোগেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ইংরাজ সৈন্য আক্রমণ। ৩১ লেন। কোটাল তাহাকে মহা সমাদরে গ্রহণ করিয়া তাহার নামধামাদি জিজ্ঞাসা করিলেন। তিনি আত্মগােপন করিয়া বলিলেন “মহাশয়! আমার নাম উইল ম্যাল কমসন; আমার পিতার নাম ম্যাকম্। আমি এটি ক অরণ্য হইতে আসিতেছি। বাস-যােগ্য স্থানের অনুসন্ধানে আমি এই উত্তর প্রদেশে আসিয়াছি”। কোটাল বলিল, “মহাশয় । আমি কোন মন্দ উদ্দেশে এই সকল প্রশ্ন কবিতেছি না; তবে সম্প্রতি পশ্চিম প্রদেশ হইতে ওয়ালেস-নামা এক পাপিষ্ঠ আসিয়া ইংলণ্ডেশ্বরের সমস্ত লােক জন মারিয়া ফেলিল, এই অশুভ সংবাদ আসিয়াছে বলিয়াই, এরূপ জিজ্ঞাসা করিতে বাধ্য হইয়াছি”। ওয়ালেস এমনি ভাবে উত্তর কবিলেন যে, কোটালের মনে আর কোন সন্দেহ রহিল না; তিনি তাহাকে অবাধে নগর মধ্যে প্রবেশ করিতে দিলেন। কিরূপে সেন্ট জনপ্পন অধিকার করা যাইতে পারে,ইহার নির্ণয় করাই তাহার এখানে আসার উদ্দেশ্য ছিল। কিন্তু তিনি দেখিলেন, দুর্গদ্বার অতি সুদৃঢ় এবং দুর্গপ্রাচীৰ অতি স্কুল। ইহা দেখিয়া তিনি এ দুর্গ অধিকার করার সঙ্কল্প আপাততঃ পরিত্যাগ করিলেন। এখানে শুনিলেন যে, পার্থ সায়ারে ইংরাজদিগের কিংক্লেভন নামক একটী দুর্গ আছে। সান্ জেমস বটুলা নামক এক জন নিষ্ঠুর নাইট এই সময় এই দুর্গের অধক্ষ্য ছিলেন। ওয়ালেস্ শুনিলেন—সেই দিন সেন্ট জন, ইন হইতে এক দল ইংরাজ-সৈন্য গিয়া সেই দুর্গের বলবৃদ্ধি করিবে। এই সংবাদ শুনিবামাত্র ওয়ালেস্ তাহাদিগকে পথে আক্রমণ করা স্থির করিলেন ; এবং গৃহস্বামীর নিকট বিদায় লইয়া মেথবে অবণ্যাভিমুখে যাত্রা করিলেন। তিনি আসিবার কালে কাহাকেও কিছু বলিয়া আসেন নাই, সেই জন্য তাহার সহচরেরা তাহার বিষয়ে নিতান্ত ভাবিত হইয়াছিলেন। তাহারা দূর হইতে ওয়ালেসের শরব শুনিয়া মৃত দেহে জীবন প্রাপ্ত হইলেন। ওয়ালে শৃঙ্গধ্বনি করিতে করিতে যেমন অরণ্যমধ্যে প্রবিষ্ট হইলেন, অমনি চতুর্দিক হইতে তাহার সহচরবৃন্দ আসিয়া তাহাকে ঘিরি দাড়াইল। তিনি তাঁহাদিগেরনিকট