পাতা:ওয়ালেসের জীবনবৃত্ত - যোগেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ওয়ালেসের জীবনবৃত্ত। আপনার অভিপ্রায় প্রকাশ করিলেন। তাহারা তদীয় অভিপ্রায় অবগত হইবামাত্র শীঘ্র রণসজ্জায় সজ্জিত হইয়া সুন্দর শৃঙ্খলায় অরণ্য হইতে বহর্গত হইলেন। | তাহারা টে নদীর তীরবর্তী নিবিড় বনমধ্যে লুক্কায়িত থাকিয়া ইংরাজদিগের আগমন-প্রতীক্ষা করিতে লাগিলেন। প্রথমে তিন জন অশ্বারোহী চলিয়া গেল, তাহার অব্যবহিত পরেই অস্ত্রশস্ত্রে সুসজ্জিত নবতিসংখ্যক ইংরাজ অশ্বারােহী পরিদৃষ্ট হইল। ওয়ালেস ও তৎসহচরবৃন্দ সিংহের ন্যায় লক্ষ প্রদান পূর্বক তাহাদিগের মধ্যে আসিয়া পড়িলেন। এই হঠ আক্রমণে তাহারা সকলেই প্রথমে স্তম্ভিত হইল। অবশেষে আক্রমণকারিগণের অভিপ্রায় বুঝিতে পারিয়া ইংরাজেরা আক্রমণকারীদিগের প্রতি বর্ষাক্ষেপ করিতে লাগিল, এবং সবেগে তাহাদিগের বিরুদ্ধে অস্ত্রচালিত করিয়া তাহাদিগকে ভূপাতিত করিবে সঙ্কল্প করিতেছে, এমন সময়ে ওয়ালে সদলে ভীমা রবে তাহাদিগকে আক্রমণ করিলেন। সে আক্রমণের বেগ সম্বরণ করা ইংরাজদিগের অসাধ্য হইয়া উঠিল। প্রথম আক্রমণেই অসংখ্য ইংরাজ ধরাশায়ী হইল। ওয়ালেসের বর্ষা সহসা ভগ্ন হইলে তিনি গদাহন্তে তাড়িতবেগে শকদিগের অভিমুখে ধাবিত হইলেন। মত্ত হস্তী যেমন শুণ্ডাঘাতে সম্মুখের সমস্ত দ্রব্যাদি ভাঙ্গিয়া ফেলে, সেইরূপ ওয়ালে প্রচণ্ড গদার আঘাতে অসংখ্য ইংরাজ অশ্বারােহীকে অশ্বের সহিত ভূপাতিত করিতে লাগিলেন। স্বয়ং সা জেম্স বটলার এই সৈনিকদলের অধিনায়ক ছিলেন। তিনি অশ্ব হইতে নামিয়া অসাধারণ বীরত্বের সহিত যুদ্ধ করিতে লাগিলেন। কিন্তু ওয়ালেসের প্রচণ্ড অসি প্রচণ্ডবেগে তাহার মস্তকের মধ্যদেশে পতিত হইয়া তাহার দেহকে দ্বিধা বিভক্ত করিল। ইংরাজসেনা তাহাতেও ভগ্নহৃদয় না হইয়া ঘােরতর যুদ্ধ করিতে লাগিল। কিন্তু স্বজাহি-প্রেম ও স্বদেশানুরাগের বশবতী উদ্দীপনায় অনুপ্রাণিত বীরবৃন্দের বেগ ধারণ করে, কাহার সাধ্য ? ইংরাজেরা কমে হতবল হইয়া রণলে ত্রিগুণিতবিংশতি-সংখ্যক সহচর রাখিয়া সহসা রণে ভঙ্গ দিয়া কিংক্লেভেন দুর্গা