পাতা:ওয়ালেসের জীবনবৃত্ত - যোগেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ওয়ালেসের জীবনবৃত্ত। হইবার পূর্বেই ওয়ালেসের অসি তদীয় দেহকে নিমুও করিয়া ফেলিল। ওয়ালেসের বীর সহচরবৃন্দ তৎক্ষণাৎ আসিয়া ওয়ালেকে শক্ৰমধ্য হইতে লইয়া গেল। ওয়ালেসের সেই পঞ্চদশ সহচরের মধ্যে সপ্ত বীর রণে নিহত হইয়াছেন; কিন্তু ইংরাজপক্ষে শতাধিক-বিংশতি জন মানবলীলা সম্বরণ করিয়াছে। ওয়ালেস্ এক্ষণে সেই অষ্টমাত্র সহচর লইয়া বন হইতে বহির্গত হইয়া অদূরবর্তী দুর্গমধ্যে প্রবেশ পূৰ্ব্বক ইংরাজদিগের সমস্ত চেষ্টা প্রতিহত করিতে লাগিলেন। এদিকে লােরেণের মৃত্যুতে সমস্ত ইংরাজসেনা ভগ্নহৃদয় হইয়া উঠিল। হেরন অতঃপর একটী সমর-সভা আহ্বান করিলেন। সেই সভায় তাহাদিগের সে দিবস সমব হইতে নিবৃত্ত হওয়া স্থির হইল। তাহারা সেই বনের নানা স্থান খুড়িয়া অপহৃত ধনরাশি উদ্ধার করিবার চেষ্টা করিলেন। কিন্তু তাহাদিগের চেষ্টা কিছুতেই সফল হইল না। অবশেষে তাহারা শােকাকুল মনে সেন্ট জন্ষ্ট নগরে ফিরিয়া আসিলেন। যুদ্ধের পর দিন রজনীযােগে স্কুটেরা অদূরবর্তী দুর্গ হইতে বহিগত হইয়া “সটউড় সা” বনমধ্যে প্রবেশ পূর্বক পৃথীকুক্ষিনিহত রত্ন রাশি তুলিয়া “মেথুবে” অরণ্যাভিমুখে লইয়া গেলেন। তথায় দুই দিন অবস্থিতি করিয়া তাহারা সহসা “এনকোপার্ক” অভিমুখে যাত্রা করিলেন। এই স্থানে তাহারা কিছু কাল অবস্থিতি করিবেন, স্থির করিলেন। এরূপ কিম্বদন্তী আছে যে, সেন্ট জষ্টনে এক পরমাসুন্দরী রমণী ওয়ালেসের প্রণয়িণী ছিলেন। তাঁহাকে দেখিবার নিমিত্ত ওয়ালেস্ যাজকের পরিচ্ছদ পরিধান পূর্বক সেন্ট জষ্টনাভিমুখে যাত্রা করিলেন। রমণী বহুদিন বিচ্ছেদের পর মহাসমাদরে নায়ককে গ্রহণ করিলেন। রজনী উপস্থিত হইলে ওয়ালেস্ তিন দিন পরে আবার তদীয় আবাসেই তাহার সহিত দেখা হইবে বলিয়া তাহার নিকট বিদায় গ্রহণ পূর্বক *একোপার্ক” অভিমুখে যাত্রা করিলেন। ওয়ালেস আত্মগােপনে বিশেষ দক্ষ হইলে ও আত্মগােপন বিষয়ে সবিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করিলেও, তদীয় শবৃন্দ-মধ্যে এক