পাতা:ওয়ালেসের জীবনবৃত্ত - যোগেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ওয়ালেসের অনুসরণ। পলায়ন-পথে যে সকল মৃতদেহের শ্ৰেণী রাখিয়া গিয়াছিলেন, শত্রুরা সেই শ্ৰেণী ধরিয়া এলকোপার্কে” আসিয়া উপস্থিত হইল। শত্ৰুদিগের সঙ্গে একটা শিকারী কুকুর ছিল। তাহারা ওয়ালেসের গুপ্ত স্থান খুঁজিয়া বাহির করিবার জন্য তাহাকে তথায় ছাড়িয়া দিল। এই কুকুরের সঙ্গে সঙ্গে এক শত অস্ত্রধারী পুরুষ যাইতে লাগিল। এ দিকে সেনাপতি বট লার ত্রিশত সৈন্য লইয়া একো পার্ক ঘিরিয়া রহিলেন এবং সেনাপতি হেরন দুই শত সৈন্য লইয়া চরম কালে ভঁহাদিগেব সাহায্য করিবার নিমিত্ত অদূরে অবস্থিতি করিতে লাগিলেন। চত্বরিংশৎ-মাত্র স্কটিশ রণবীর সেই দশগুণিত ইংরাজসেনার করাল কবল সম্মুখে উপস্থিত হইলেন। চতুর্দিক শক্ত পরিবেষ্টিত—পলাইবার পথ নাই, সুতরাং যুদ্ধ প্রদান করা ভিন্ন তাহাদিগের আর পক্ষান্তর ছিল । অতএব তাহারা যুদ্ধ প্রদান করিতেই কৃতসঙ্কল্প হইলেন। সেই ক্ষুদ্র বীর সেনা এরূপ প্রচণ্ডবেগে ইংরাজদিগকে আক্রমণ করিল, যে প্রথম আক্রমনেই চল্লিশ জন ইংরাজ ধরাশায়ী হইল। বটলারের সৈন্য ভূমে হতাশ হইয়া পড়িল। তাহাদিগের শিথিলতা দেখিয়া ওয়ালে সদলে শ্রেণী ভেদ করিয়া আপনাদিগের দুর্গাভিমুখে ধাবমান হইলেন। তাহারা দ্রুতপদে টে নদীর তীরে আসিয়া উপস্থিত হইলেন। টে নদীর অপর পারে তাহাদিগের দুর্গ। তাহারা ঘটিয়া টে নদী পার হইবেন ভাবিয়াছিলেন; কিন্তু আসিয়া দেখিলেন— টে অতি গভীর, এবং বিনা সন্তরণে ইহা পার হওয়া অসম্ভব। তাহার সহচর-বৃনের অধিকাংশই সন্তরণ-বিষয়ে অনভিজ্ঞ ছিলেন বলিয়া তাহাকে অগত্যা সে সঙ্কল্প পরিত্যাগ করিতে হইল। নদীজলে প্রাণ বিসর্জন করা অপেক্ষা, রণক্ষেত্রে শক্ররুধিরে পিতৃলােকের তর্পণ করিতে করিতে প্রাণ উৎসর্গ করা সৰ্ব্বথা শ্রেয় মনে করিয়া সেই বীরদল ফরিয়া পরিত্যক্ত রণভূমিতে আসিয়া অবতীর্ণ হইলেন। বটলার এই বীরবৃন্দের পুনরাগমনে ভীত না হইয়া ছত্রভঙ্গ সেনাকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করিয়া অমিত তেজে তাহাদিগকে আক্রমণ করিলেন। কিন্তু উৎসর্গীকৃতজীবন, স্বজাতি-প্রেমিকের বেগ ধারণ করে কাহার