পাতা:ওয়ালেসের জীবনবৃত্ত - যোগেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪, ওয়ালেসের জীবনবৃত্ত। সাধ্য ? সেই দৈবীশক্তিসম্পন্ন বীরবৃন্দ সমরক্ষেত্রে অদ্ভুত রণকৌশল প্রদর্শন করিতে লাগিলেন। বােধ হইল, যেন কোন দৈবীশক্তি তাহা দিগকে রণে অজেয় করিয়া দিয়াছেন। দৈবীশক্তিবলেই সেই অঙ্গলিমাত্রে গণনীয় জাতীয় দল অসংখ্য ইংরাজের মৃতদেহে রণক্ষেত্রকে শ্মশানক্ষেত্র করিয়া তুলিল। দুই বীরের যুদ্ধে সৰ্বশুদ্ধ একশত ইংরাজ ধরাশায়ী হয়। অবশেষে বট লার ভগ্নহৃদয় হইয়া রণস্থল পরিত্যাগ পূৰ্ব্বক অদূরবর্তী সেনাপতি হেরনের সহিত পরামর্শ করিতে গেলেন। সেই অবসরে ওয়ালেস তদীয় নিহবশিষ্ট ষােড়শমাত্র সহচর লইয়া অবাধে রণস্থল হইতে প্রস্থান করিলেন। | এদিকে বটলা হের কর্তৃক সমবেত সেনা লইয়া রণস্থলে উপস্থিত হইলেন। রণস্থল শূন্য দেখিয়া তাহারা ওয়ালেসের অনুসন্ধানার্থে আবার সেই শিকারী কুকুর প্রেরণ করিলেন। অদ্ভুত-শক্তিসম্পন্ন কুকুর ওয়ালেসেব পথ চিনিয়া ফেলিল। তিনি তখন গাঙ্ক অরণ্যের অভিমুখে গমন করিতেছিলেন। তাহাকে অগত্যা সে পথ পরিত্যাগ পূৰ্ব্বক দুরারােহ পর্বতশৃঙ্গে উঠিতে হইল। “ফন” নামক আয়লণ্ডবাসী তাঁহার এক জন অনুযাত্রিক তাহার সহিত যাইতে অস্বীকৃত হইল। তাহাকে বিশ্বাসঘাতক মনে করিয়া ওয়ালেস তৎক্ষণাৎ তাহার শিরােছেদন পূর্বক তদীয় মৃতদেহ তথায় ফেলিয়া সদলে অধিত্যকাভিমুখে যাত্রা করিলেন। ওয়ালেসের অজ্ঞাতসারে ষ্টিফি ও কার্লে নামক তদীয় সহচরদ্বয় তাহার সঙ্গ পরিত্যাগপূর্বক সেই প্রদেশের কোন নিভৃত স্থানে লুক্কায়িত হইয়া রহিলেন। এদিকে বটলার ও হেরন হতাবশিষ্ট পঞ্চশত ইংরাজ সৈন্য লইয়া তথায় আসিয়া উপস্থিত হইলেন। কুকুর ফজনের মৃতদেহ ফেলিয়া এক পাদও অগ্রসর হইল না। সকলেই নিবিষ্টচিতে সেই মৃতদেহ নিরীক্ষণ করিতেছে, এমন সময় কালে ও ফিন্ অতর্কিত ভাবে জাসিয়া তাহাদিগের সহিত মিলিত হইল। সে গােলমালে কেহই তাহাদিগকে শত্রুপক্ষীয় বলিয়া চিনিতে পারিল না। হের নিপুণ হইয়া সেই মৃতদেহ পরীক্ষা করিতেছেন, এমন সময় কালে তাহার