পাতা:ওয়ালেসের জীবনবৃত্ত - যোগেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪৩ বটলার নিহত। সহসা উষাদেবী পূর্বাকাশে হাসিয়া উঠিলেন। রজনীর তিমিররাশি সূৰ্য্যভয়ে পলায়ন করিয়া পৰ্বত-গুহায় লুক্কায়িত হইল, এমন সময় বলার দূর হইতে ওয়ালেকে দেখিতে পাইলেন। তিনি স্কটদিগের গতিরােধ করিবার মানসে সেই নদীতীরে অশ্বপৃষ্ঠে বিচরণ করিতেছিলেন, ওয়ালেসকে দেখিয়াই সবেগে তদভিমুখে অশ্ব চালিত করিলেন ; এবং তথায় আসিয়া ওয়ালেসকে তাহার নাম ধামাদি জিজ্ঞাসা করিলেন। ওয়ালেস আত্মগােপন করিয়া বলিলেন, তিনি সার জন ইয়ার্টের নিকট কোন সংবাদ লইয়া যাইতেছেন। বটলার বলিলেন, “তুমি মিথ্যা বলিতেছ, তুমি নিশ্চয়ই ওয়ালেসের অনুচর”—এই . বলিয়াই তিনি অসি নিস্কোষিত করিয়া তদভিমুখে ধাবিত হইলেন। ওয়ালেসের শাণিত তরবাবি নিমেমধ্যে উত্তোলিত হইয়া বটলারকে ছিন্নপদ করিয়া ফেলিল। পদহীন ইংরাজ-সেনাপতি তৎক্ষণাৎ অশ্বপৃষ্ঠ হইতে ভূপতিত হইলেন। ওয়ালে তদীয় অশ্বের বাধারণ পূর্বক এক খঘাতে মুহূর্ত মধ্যে বটলারকে ছিন্নমুণ্ড করিয়া ফেলিলেন। এক জন ইংরাজ-সৈনিক দূর হইতে সবেগে তাহার নিকট আসিয়া উপস্থিত হইল। ওয়ালেস্ তাহার বষ। কাড়িয়া লইয়া উল্লম্ফন পূৰ্ব্বক বটলারের অশ্বপৃষ্ঠে আরােহণ পূর্বক তাড়িতবেগে ডারিয়ক অভিমুখে প্রধাবিত হইলেন। অসংখ্য ইংরাজ তাহার পশ্চাদ্বর্তী হইল। যাহারা অতি নিকটে আসিতে লাগিল, তাহারা ওয়ালেস্ কর্তৃক তৎক্ষণাৎ নিহত হইতে লাগিল। এইরূপে অসংখ্য ইংরাজ-রক্তে জন্মভূমি প্ৰক্ষালিত করিতে করিতে ওয়ালেস নক্ষত্র-বেগে ছুটিতে লাগিলেন। বটলারের অত্যুৎকৃষ্ট অশ্বও এই তাড়িত গমনে ক্ৰমে রুদ্ধশ্বাস হইয়া পড়িল । ওয়ালে অশ্ব পরিত্যাগ পূৰ্ব্বক অর্ধ ক্রোশ পথ পদব্রজে গমন করিলেন। অর্ধ ক্রোশ দূরে আসিয়া আর একটী অশ্ব পাইলেন। সেই অশ্বে আরোহণ করিয়া যেমন তাহাকে চালিত করিলেন, অমনি অসংখ্য ইংরাজ-সৈন্য তাহার পশ্চাদ্বত্তী হইল। তিনি প্রচণ্ড বেগে অশ্ব চালিত করিলেন, তথাপি কেহ কেহ তাহার অতি নিকটবর্তী হইতে লাগিল। তিনি তাহাদিগকে তৎক্ষণাৎ শাণিত তরবারির কল