পাতা:কঃ পন্থাঃ - চন্দ্রনাথ বসু.pdf/৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কঃ পন্থাঃ இல்)

  • -.

গিয়া থামিতে পারে নাই, তদপেক্ষ অনেক বেশী দূর গিয়াছে। কথা সত্য। কিন্তু, ভারতবর্ষ পার্থিব অভাব ও সম্পদের প্রতি চিরকালই যে কম মনোযোগী ছিল তাহু নহে । প্রাচীন ভারতে লোকসংখ্যা, রাজ্যপাট, সামাজিক বিধিব্যবস্থা প্রভৃতি যেমন বৃদ্ধি হইয়াছে প্রাচীন হিন্দুও তেমনি পার্থিব অভাব ও সম্পদের প্রতি অধিকতর, মনোযোগী হইয়াছে। বাল্মীকির সরযুতীরবর্তী অযোধ্যা নগরীর বর্ণনায পার্থিব উন্নতি ও ঐশ্বৰ্য্যেব যে পরিচয পাওয যায শতদ্রুতীরবাসী হিন্দুর সে পার্থিব উন্নতি ও ঐশ্বৰ্য্য ছিল না। কাল সহকারে হিন্দু কত নূতন নূতন শিল্প আবিষ্কার করিয়া কাল সহকারে তাঁহাতে কতই উন্নতি লাভ করিয়াছিল তাহা বলিযা শেষ করা যায না । এমন কি প্রযোজনামুসারে বিলাসের উপকরণ পৰ্য্যন্ত কুতই যে হইয়াছিল এবং কি অপরূপ ও অতুলনীযই যে হইয়াছিল তোমাকে আমাকে তাহা বলিতে হইবে না, সমস্ত পৃথিবী তাহা সহস্ৰমুখে বলিয়া-থাকে। তথাপি হিন্দু ত কখনই পার্থিব হইযা যায় নাই। হিন্দু ত ইউরোপের হ্যায পাথিৰ পথে প্রয়োজনের অধিক প্রবেশ করে নাই। হিন্দু বিলাসের উপকরণ গডিয়াছিল বটে। কিন্তু গরীৰ মজে, গরীব মরে এমন করিয়া গডে নাই। গরীব ও নিম্নশ্রেণীর নির্মিত্ত ৰিলাসের উপকরণ গড়িতে নাই, তাহার জ্ঞান এবং শিক্ষাও । এইরূপ ছিল। অতএব পার্থিব পথে প্রয়োজনানুসারে