পাতা:কজ্জলী - পরশুরাম (১৯৪৯).pdf/১০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
কজ্জলী

বকুলাল মহা ফাঁপরে পড়লেন। অনেক ভেবে-চিন্তে একজন মাতব্বর সায়েবকে ধ'রে বললেন –তিনি হাজার টাকা ড্রংকেন সেলার্স হোমে দিতে রাজী আছেন যদি গবরমেণ্ট তাঁকে কাউনসিলে নমিনেট করে। সায়েব বললেন— টাকা তিনি গ্ল্যাডলি নেবেন, কিন্তু প্রতিশ্রুতি দিতে পারবেন না, কারণ গবরমেণ্ট যার-তার কাছে ঘুষ নেয় না। বকুবাবু মুখ চুন ক’রে ফিরে এলেন। তার পর একজন রাজনীতিক চাঁইকে বললেন আমি ইলেকশনে দাঁড়াতে চাই, আমায় দলে ভরতি ক'রে নিন, ক্রীড কি আছে দিন সই করে দিচ্ছি। চাঁই-মশাই বললেন –দুত্তোর ক্রীড, আগে লাখ টাকা বার করুন দেখি, আমাদের নিখিল-বঙ্গীয়-সৰ্পনাশক ফাণ্ডের জন্মে,—সাপ না মারলে পাড়াগায়ের লোক সাপোর্ট করবে কেন? বকুবাবু বললেন – ছি ছি, দেশের কাজ করব তার জন্যে টাকা? ঘুষ আমি দিই না। ফিরে এসে স্থির করলেন, সব ব্যাটা চোর। খরচ যদি করতেই হয়, তিনি নিজে বুঝে-সুজে করবেন।

 কলকাতায় সুবিধে করতে না পেরে বকুবাবু ঠিক করলেন, সাউথ-সুন্দরবন-কন্‌স্টিটুয়েন্সি থেকে দাঁড়াবেন। সেখানে সম্প্রতি কিছু জমিদারি কিনেছিলেন, সেজন্যে

৯৬