পাতা:কজ্জলী - পরশুরাম (১৯৪৯).pdf/১০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দক্ষিণরায়

ভোট আদায় করা সোজা হবে। ইলেকশনের দু-তিন মাস আগে থেকেই তিনি উঠে-প’ড়ে লেগে গেলেন।

 তারপর হঠাৎ একদিন খবর এল যে বকুলালের পুরনো শত্রু রামজাদুবাবু রাতারাতি খদ্দরের সুট বানিয়ে বক্তৃতা দিতে শুরু করেছেন। তিনিও ঐ সোঁদরবন থেকে দাঁড়াবেন। বকুবাবুর দ্বিগুণ রোখ চেপে গেল - তিনি টেরিটিবাজার থেকে একটি তিন নম্বরের টিকি কিনে ফেললেন, দেউড়িতে গোটা-দুই ষাঁড় বাঁধলেন, আার বাড়ির রেলিংএর ওপর ঘুঁটে দেওয়ার ব্যবস্থা করলেন।

 খবরের কাগজে নানারকম কেচ্ছা বার হ’তে লাগল। বকুলাল - দত্ত সেটাকে কে চেনে? চোদ্দ বছর আগে কার কাছে চাকরি করত? সে চাকরি গেল কেন? কেরানীর অত পয়সা কি করে হ’ল? হে দেশবাসিগণ্ব কুলাল অত সোডাওআটার কেনে কেন? কিসের সঙ্গে মিশিয়ে খায়? বকুর বাগানবাড়িতে রাত্রে আলো জ্বলে কেন? বকুলাল কালো, কিন্তু তার ছোট ছেলে ফরসা

হ’ল কেন? সাবধান বকুলাল, তুমি শ্রীযুক্ত রামজাদুর সঙ্গে পাল্লা দিতে যেয়ো না, তা হ'লে আরও অনেক কথা ফাঁস ক’রে দেব। বকুবাবুও পাল্টা জবাব ছাপাড়ে

৯৭