পাতা:কজ্জলী - পরশুরাম (১৯৪৯).pdf/১৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
স্বয়ংবরা

দেখতে পেরেছেন—বন্দী আমার প্রাণেশ্বর। আজকাল চায়ের কল্যাণে বাংলা দেশে ভাবের বন্যা এসেছে, ঘরে ঘরে চা, ঘরে ঘরে প্রেম। সেকালের কবিদের বিস্তরা য়নাক্কা ছিল,—উপবন রে, চাঁদ রে, মলয় রে, কোকিল রে, তবে পঞ্চশর ছুটবে। এখন কোনও ছঞ্ঝাট নেই,— ৷ই শুধু দুটো হাতল-ভাঙা বাটি, একটু ছেঁড়া অয়েল থ, একটা কেরোসিন কাঠের টেবিল, দু-ধারে দুই তরুণ- তরুণী, আর মধ্যিখানে ধূমায়মান কেতলি। ভাগ্যিস বয়েসটা ষাট, তাই বেঁচে গিয়েছিলুম।

 মেমকে জিজ্ঞাসা করলুম- আচ্ছা মেমসায়েব, এই য দুই হুজুব গড়াগড়ি যাচ্ছেন, এঁরা দুজনেই তো আপনার প্রাণিপ্রার্থী। আপনি কোন্ ভাগ্যবান্‌টিকে বরণ করবেন?

 মেম বললেন- সে একটি সমস্যা। আমি এখনও মনস্থির করিতে পারিনি। কখনও মনে হয় টিমিই উপযুক্ত পাত্র, বেশ লম্বা সুপুরুষ, আমাকে ভালও বাসে খুব কিন্তু মদ খেলেই ওর মেজাজ খারাপ হয়ে যায়। আর ঐ ব্লটো, যদিও বেঁটে মোটা, আর একটু বয়স হয়েছে, কিন্তু আমার অত্যন্ত বাধ্য আর বড় নরম মন। একটু মদ খেলেই কেঁদে ফেলে। বড় মুশকিলে পড়েছি, দুজনেই নাছোড়বান্দা। যা হ’ক এখনও ক-ঘণ্টা সময়

১২৩