পাতা:কজ্জলী - পরশুরাম (১৯৪৯).pdf/১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বিরিঞ্চিবাবা

সম্প্রতি লেখাপড়ায় ইস্তফা দিয়া কাজকর্মের চেষ্টা দেখিতেছে। সত্যব্রত হাঁফাইতে হাঁফাইতে বলিল— ‘ওঃ, কি মুশকিলেই পড়া গেছে!'

 সত্য প্রায়ই মুশকিলে পড়িয়া থাকে, সেজন্য তার কথায় কেহ উৎকণ্ঠা প্রকাশ করিল না। অগত্যা সে আপন মনে বলিতে লাগিল— ‘সমস্ত দিন আপিসের হাড়ভাঙা খাটুনি, বিকেলে যে একটু ফুর্তি করব তারও জো নেই। ভাবলুম আজ ম্যাটিনিতে সীতা দেখে আসি। অমনি পিসিমা ব’লে বসলেন— সতে, তুই ব’কে যাচ্ছিস, আমার সঙ্গে চল্, সাণ্ডেলমশায়ের বক্তৃতা শুনবি। কি করি, যেতে হ’ল। কিন্তু সব মিথ্যে। সাণ্ডেলমশায় বলছেন ধর্মজীবনের মধুরতা, আব আমি ভাবছি আরসোলা।'

 নিতাই। আরসোলা?

 সত্য। তিন টন আরসোলা। ফরওআর্ড কনট্রাক্ট আছে, নভেম্বর-ডিসেম্বর শিপমেণ্ট, চল্লিশ পাউণ্ড পনর শিলিং টন, সি-আই-এফ হংকং। চায়নায় লড়াই বাধবে কিনা, তাই আগে থাকতে রসদ সংগ্রহ করছে। বড়-সায়েবের হুকুম— এক মাসের মধ্যে সমস্ত মাল পিপে-বন্দী হওয়া চাই। কোত্থেকে পাই বলুন তো? ওঃ, কি বিপদ!