প্রবেশ, পুলিসের কর্ত্তব্যে ব্যাঘাত ইত্যাদি; সব কটাই তাঁহার বিরুদ্ধে পূরা প্রমাণ হইল।
শশিভূষণ তাঁহার সেই ক্ষুদ্র গৃহে তাঁহার প্রিয় পাঠ্য গ্রন্থগুলি ফেলিয়া পাঁচ বৎসর জেল খাটিতে গেলেন। তাঁহার বাপ আপিল করিতে উদ্যত হইল, তাঁহাকে শশিভূষণ বারম্বার নিষেধ করিলেন—কহিলেন, জেল ভাল! লোহার বেড়ি মিথ্যা কথা বলে না, কিন্তু জেলের বাহিরে যে স্বাধীনতা আছে সে আমাদিগকে প্রতারণা করিয়া বিপদে ফেলে। আর যদি সৎসঙ্গের কথা বল, ত, জেলের মধ্যে মিথ্যাবাদী কৃতঘ্ন কাপুরুষের সংখ্যা অল্প, কারণ স্থান পরিমিত—বাহিরে অনেক বেশি!
দশম পরিচ্ছেদ।
শশিভূষণ জেলে প্রবেশ করিবার অনতিকাল পরেই তাঁহার পিতার মৃত্যু হইল। তাঁহার আর বড় কেহ ছিল না। এক ভাই বহুকাল হইতে সেণ্ট্রাল প্রভিন্সে কাজ করিতেন, দেশে আসা তাঁহার বড় ঘটিয়া উঠিত না, সেইখানেই তিনি বাড়ি তৈয়ারি করিয়া সপরিবারে স্থায়ী হইয়া বসিয়াছিলেন। দেশে বিষয় সম্পত্তি যাহা ছিল, নায়েব হরকুমার তাহার অধিকাংশ নানা কৌশলে আত্মসাৎ করিলেন।
জেলের মধ্যে অধিকাংশ কয়েদীকে যে পরিমাণে দুঃখ