পাতা:কথা বনাম কাজ - প্রমথনাথ রায়চৌধুরী.pdf/১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কথা বনাম কাজ । তাহাদেরও অত্যন্ত প্রয়োজন আছে। আর তাহার সে ক্ষেত্রে শুধু কলের পুতুলের মত চলিলেও শেষরক্ষা হয় না; তাহাদের স্বতঃপ্রবৃত্ত সহায়তা । দ্বারাই আমরা প্রকৃত বল লাভ করিতে পারি। এই যখন ব্যাপার, তখন । তাহাদিগকে দুঃখের দশটা বুঝাইয়া সেয়ানা করিয়া তুলিলে ক্ষতি কি ? ইহাতে বিশ্বাসঘাতকতার আশঙ্কা নাই। ঘরের লক্ষ্মী কি কখনও পরের इड्रेड পারেন? ঘরে তাহদের সেই লক্ষ্মী সেই কল্যাণীশ্ৰী অম্লানই । থাকিবে ; কেবল বাহিরের অন্তরায় জ্ঞানে মনে মনে তুচ্ছ না করিয়া, প্রকৃত সহায় লাভে তাহাদিগকে উচ্চ জ্ঞান করিবার অবকাশ আমাদের इहेब নতুবা দশ পাচটা জাকাল বিশেষণ জুড়িয়া গছে পণ্ঠে নারীস্ত্রোত্র গাহিলে, বিদেশীর চোখে ধুলা দিয়া উৎকট স্বদেশীয়ানাই দেখান হয় ; বন্দিতাকে কিন্তু লজ্জিত করা হয়! n এই সব আয়োজনেও আমাদের কৰ্ম্মমন্দিরে সিদ্ধিদেবতার প্রতিষ্ঠা হইবে না। যতদিন মুসলমান হিন্দুকে রক্ষা না করিবে, যতদিন হিন্দু মুসলমানকে বরণ করিয়া না লইবে, ততদিন আমাদের উন্নতির আশা আকাশকুসুমবৎ থাকিবে । হে হিন্দু, তুমিই অগ্রসর হইয়া সেই ধৰ্ম্মপ্রাণ ঐক্যবলশালী যশস্বী তেজস্ব জাতিকে মহাযজ্ঞে আমন্ত্ৰণ করিয়া আন। দলে দলে তোমাদের সভাসমিতি মুসলমানভ্রাতাগণের দ্বারা পূর্ণ হইয়া যাক, তাহাদের পদধূলিতে ধন্য হইয়া উঠুক। মায়ের সিংহাসন যদি উভয় দল বহন না করি, তবে দেশের মুখোজ্জল হইবে না। মায়ের সিংহাসনচ্যুত ধান্তদুৰ্ব্ব উভয় সম্প্রদায়ের মস্তকে আশীৰ্ব্বাদ বর্ষণ করুক। এক মহাদুঃখের কৃষ্ণছায়াতলে দাড়াইয়া এ ভ্রাতৃবিচ্ছেদ, এ আত্মহত্যা আর কতদিন চলিবে ? যেখানে কোরাণে বেদে দ্বন্দ্ব নাই, নমাজে পূজায় ভেদ নাই, সেই স্নেহমণ্ডপে জননী তাহার সকল সন্তানকেই আহ্বান করিতেছেন । r >२