পাতা:কথা বনাম কাজ - প্রমথনাথ রায়চৌধুরী.pdf/২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কথা বনাম কাজ কাজ হৌক, বিহার, উড়িষ্যা ও আসাম দখল। কৃত্রিম উপায়ে ঐ সব দেশবাসীকে সরকার একটী বরেণ্য ভাষার রসাস্বাদনে বঞ্চিত রাখিয়াছেন। অবিলম্বে স্থায়ী ভাষাপ্রচারকের দল গঠন করিয়া ঐ সব দেশে বঙ্গভাষার নেশা ধরাইয়া দিতে হইবে । স্বভাবের প্রভাবে, ভাবের প্রবাহে বালির বাধ কোথায় ভাসিয়া যাইবে! আমি নিশ্চয় বলতে পঢ়ু, কৃষিতের আর কাহারও প্রতীক্ষা করিতেছে না ; আমাদেরই পথ তাকাইয়া আছে ! নবজীবনের প্রভাতেই ঘরে-বাহিরে বিপক্ষের চর ও অনুচর আমাদের পাছে লাগিয়াছে। ঘরের মূষিকদিগকে আমরা মার্জনা করিব না । বাহিরে ষাড়ের সিং নাড়া আর চেচানী গ্রাহ্য করিব না,-—হাতে না পারি, ভাতে মারিয়া চিরকাল ক্ষ্যাপাইব । যেই বণিকজাতির রুটতে টান পড়িয়াছে, অমনিই এণ্ড, পেগু হইতে, যত সাদা চামড়ার দল লাল হইয়া উঠিয়াছে ! নিজের জিনিস নিজে ব্যবহার করিবে, নেটিভের এমনতর আস্পদ্ধা ! এ কি কহ যায়, না সহা:যায় !—হেয়ারীটে ভারি চোখরাঙ্গানী ও ফোসফেঁাসানী সুরু হইয়াছে ! কোন স্বাধীন দেশের লোক এতবড় নির্লজ্জ খৃষ্টত দেখিয়া অবাক হইয়া যাইত। আমরা অবাক্ রহি,আর বাক্যুদ্ধ করি, মন বাধিব পণ রাখিব । বিলাত কোট ছাড়িলে তবেই আমরা জোট ভাঙ্গিব । তখনও স্বদেশী ভাণ্ডারের দিকে আমাদের ঝোক কিছুতেই কমিবে না, শুধু বিলাতিবিদ্বেষের রোধ থামিবে ; তখন অপরের জায়গায় বিলাতকে আগে চাহিব । যাহার হুজুর্গ, বলিয়া উড়াইতে চাহিয়াছিল, তাহারা বুকুক্‌, আমাদের মুখে যেমন তোড়, বুকেও তেমনই জোর । বাণকোম্পানীর পরিত্যক্ত তিনশত মহাপ্রাণ যদি অনাহারে মরে, তবে বুঝিৰ, আমরা লাথি-গু তারই উপযুক্ত! : এই সঙ্কটে স্বদেশীকে সঙ্কল্পে অটল রাখিতে, স্বজাতিকে কৰ্ত্তব্যে সচল থাকিতে, তোমাদের একজন অখ্যাত অজ্ঞাত ভাষাসেবকের সদ্য-জাশাগ >や