݂ ݂ কবিতাকুসুমাঞ্জলি উৎসর্গ জলদানদ্বারা সাগরকে মরুভূমি করিতে পারেন নাই, এই দ্বিবিধ অপযশঃ স্বীকার করিয়া মস্তকোপরি শোভমান সীতা দ্বারা দ্বিধাকৃত কেশরূপে ধারণ করিয়াছেন । পাপ এবং অপযশঃ কীৰ্ত্তন করিতে হইলে কবিগণ কৃষ্ণবর্ণ বস্তুসহ তুলনা ও বর্ণনা করেন। সেই জন্য মহারাজ নলের ঘোর কৃষ্ণবর্ণ ও সীতাদ্বারা দুই অংশে বিভক্ত কেশীকলাপকে ঐ দুই প্রকার অপযশঃ বলিয়া মস্তকোপরি ধারণ করিয়াছেন। “যে বস্তু নয়, বিশেষণাদি দ্বারা তাহা সেই বস্তু প্ৰমাণ করিলে রূপক কহে ।” এই নিয়মাধীনে সীতাদ্বারা দ্বিধাকৃত কৃষ্ণবৰ্ণ কেশ-কলাপ অপযশঃ বলিয়া कौडि, श्ल। কোন ধনাঢ্য লোকে টেড়ী কাটিলে তাহার প্রধান প্ৰধান অপযশকে টেড়ীর দুই অংশস্থ কেশকলাপ বলিয়া বৰ্ণনা করিতে পারেন। কতিপয় মূঢ়লোকে চক্ষুরিন্দ্ৰিয়দ্বারা প্ৰতিশরীরে দেবদেবী প্ৰত্যক্ষভাবে দৃষ্টিগোচর না হওয়া প্ৰযুক্ত দেবদেবী স্বীকার করিতে চাহেন না, তাহাদের হৃদবোধার্থ “জ্ঞানসঙ্কলিনী তন্ত্রে ধূত বচনমা প্ৰদৰ্শিতং।” যথা— কাষ্ঠমধ্যে যথা বহ্নিঃ, পুষ্পে গন্ধঃ পয়োহ মৃতম্। দেহ মধ্যে তথা দেবঃ, পুণ্যপাপ-বিবর্জিতঃ ৷ ৭ ৷৷ অস্যান্বয়ো যথা-কাষ্ঠমধ্যে দারুমধ্যে যথা যদ্রপোণ বহ্নিরগ্নিরস্তি, পুষ্পে গন্ধঃ, পয়সি দুগ্ধে অমৃতং অসাধারণ-সুস্বাদবিশিষ্টবস্তু বিদ্যাতে, তদ্রুপেণ দেহমধ্যে শরীরাভ্যন্তরে দেবো দেবী চ অর্থাৎ শরীরনিষ্ঠদেবতা স্থিতা ; কিন্তু স দেবঃ পুণ্যপাপ-বিজিতঃ অর্থাৎ শরীরনিষ্ঠদেবতা শরীরিকৃতকৰ্ম্মফলত্যাগী ভবতি। “অনুষ্টুপছন্দঃ”। ইহ জগতি যদ যদা বস্তু বিদ্যতে, তেষাং মধ্যে প্রত্যেকবস্তুনিষ্ঠ্যৈকদেবোহস্তি দেবী চ বিদ্যতে ।
