পাতা:কবিবর ৺ভারতচন্দ্র রায় গুণাকরের জীবন বৃত্তান্ত.djvu/৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাণ্ডিত্য এবং কবিত্ব গুণে রায় গুণাকর ভারতচন্দ্র নৃপেন্দ্র কৃষ্ণচন্দ্র রায় বাহাদুরের অতিশয় প্রিয় সভাসদ ৰূপে গণ্য হইলেন । এই ভাবে কিছুদিন গত হইতে হইতে রাজা একদিবস জিজ্ঞাসা করিলেন “তুমি এখানে রহিয়াছ, তোমার পরিবার কোথায় ? তুমি বাটীর তত্ত্বাবধারণ কর কি না ?” ভারত কহিলেন “ আমার স্ত্রী অামার শ্বশুরালয়ে আছেন, ভ্রাতাদিগের সহিত আমার তাদৃশ সস্তাব নাই, এজন্য বাটী যাইবার অভিলাষ নাই, গঙ্গণ তীরে কিঞ্চিৎ স্থান পাইলে স্বতন্ত্র একখানি বাড়ী প্রস্তুত করিয়া তথায় পরিবার লইয়া স্বচ্ছন্দে বাস ও সংসারধৰ্ম্ম করিতে পারি।” রাজা কহিলেন “নবদ্বীপ হইতে কলিকাতা পৰ্য্যন্ত আমার অধিকার মধ্যে কোন স্থানে তোমার বাস করিতে ইচ্ছা হয় ?” কবি কহিলেন “ ইন্দ্রনারায়ণ চৌধুরী মহাশয়ের রূপায় আমি কম্পতরুর আশ্রয় প্রাপ্ত হইয়াছি, অতএব তাহার বাটীর নিকটে হইলেই ভাল হয়, যেহেতু তাহার সহিত সৰ্ব্বদাই সাক্ষাৎ করিতে পারি।” রাজ কহিলেন “তবে তুমি “মুলাযোড়ে , গিয়া বসতি কর।” ভারত কহিলেন “ যে আজ্ঞা মহারাজ, ঐ স্থানটিই আমার অত্যন্ত মনোনীত হইয়াছে।” পরে উল্লেথিত পণ্ডিত ও কবিপ্রতৃিপালক বিদ্যানুরাগি নরবর নৃপবর ভারতকে বাটীর নিমিত্ত ১০০ এক শত টাকা এবং ৬০০ টাক বার্ষিক রাজস্ব নির্দেশ পূর্বক মুলাষোড়-খানি ইজার দিলেন । , , ভারত সেই টাকা এবং ইজারার সনদ লইয়া শ্বশু