পাতা:কমললতা - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আর বিরাম-বিচ্ছেদ নাই। সবাই ব্যস্ত, সবাই নিযন্ত । মনে হইল পাথরের দেবতারই এই অন্ট প্রহরব্যাপী অফুরন্ত সেবা সহে, আর কিছ হইলে এত বড় ধাকলে কৰে। ক্ষয় হইয়া নিঃশেষ হইয়া যাইত । কাল বৈষ্ণবীকে জিজ্ঞাসা করিয়াছিলাম, তোমরা সাধন-ভজন করো কখন ? সে উত্তরে বলিয়াছিল--এই ত সাধন-ভজন। সবিস্ময়ে প্রশ্ন করিয়াছিলাম, এই রাধাবাড়া ফুল-তোলা মালা-গাঁথা দধি জ্বাল দেওয়া একেই বলো সাধনা ? সে মাথা নাড়িরা তখনি জবাব দিয়া বলিয়াছিল, হাঁ, আমরা একেই বলি সাধনা-আমাদেব আব্ব কোন সাধন-ভজন নেই । অ্যাজ সমস্ত দিনের ঋণ৬। দেখিয়া ব্যঝিলাম ৩াহাব কথাগলা বাণে বণে সত্য । অতিরঞ্জন অত্যক্তি কোথাও নাই দােপরেবেলায় কোন এক ফাঁকে বলিলাম, কমলীলতা, আমি জানি আমি অন্য সকলের মত নাও । সত্যি বলো অ, ভগবানের প্রতীক এই দেশ পাথরের মতি বৈষ্ণবী হাত তালিয়া আমাকে থামাইয়া দিল, কহিল, প্রতীক কী গো-উনিই যে সাক্ষাৎ ভগবান । এমন কথা আর কখনো মাখেও এনে না। নওনগোঁসাই আমার কথায় সে-ই যেন লক্ষজা পাইল বেশি। আমিও কেমন একপ্রকার অপ্রস্তুত ইয়া পড়িলাম, তবও আস্তে আস্তে বলিলাম, আমি তো জানি নে, তাই জিজ্ঞাসা একরাচি তোমরা কি সতাই ভাবো, ঐ পাথবের মতির মধ্যেই ভগবানের শক্তি এবং 5ठा, उर्लान्न - আমার এ কথাটাও সম্পণে হইতে পাইল না, সে বলিয়া উঠিল, ভাবতে ফাবো কিসের জন্যে গো, এ যে আমাদের প্রত্যক্ষ । সংস্কারের মোহ তোমরা কাটাতে পারো না বলেই ভাবো রক্তমাংসের দেহ ছাড়া চৈতন্যের আর কোথাও থাকবার যো নেই ; কিন্তু তা কেন ? আর এও বলি, শক্তি আর চৈতন্যের হদিস কি তোমরাই সবখানি পেয়ে বসে আছো যে বলবো পাথরের মধ্যে তার জায়গা হবে না ? হয় গো হয়, ভগবানেরও কোথাও থাকতে বাধা পড়ে না, নইলে তাঁকে ভগবান বলতে যাবো কেন বলো ৩ ” যক্তি হিসাবে কথাগালো সপটও নয়, পাণও নয়, কিন্তু এত তা নয়, এ তাহার জীবন্ত বিশদ্বাস । তাহার সেই জোর ও অকপট উক্তির কাছে হঠাৎ কেমনধারা থিতামত খাইয়া গেলাম ; তক করিতে, প্রতিবাদ করিত্নে সাহস হইল না, ইচ্ছাও করিল না । করতে ভাবিলাম, সত্যই ত, পাথরই হোক আর যাই হোক, এমন পরিপািণ বিশবাসে আপনাকে একান্ত সমপণ না করিতে পারিলে বৎসরের পর বৎসর দিনা-৩ ব্যাপী এই অবিচ্ছিন্ন সেবার জোর পাইও ইহারা কি করিয়া ? এমন সোজা হইয়া নিশ্চিন্তু নিভয়ে দাঁড়াইবার অবলম্ববন মিলিও কোথায় ? ইহাৱা শিশ ত নয়, ছেলেখেলার এই মিথ্যা অভিনয়ে দ্বিধাগ্রস্ত মন যে শান্তির অবসাদে দুদিনেই এলাইয়া পড়িত ; কিন্তু সে হয়। নাই, বরঞ্চ ভক্তি ও প্রীতিব অখন্ড একাগ্রতায় আত্মনিবেদনের আনন্দোৎসব ইহাদের বাড়িয়াই চলিয়াছে। এ জীবনের পাওয়ার দিক দিয়া সে কি তবে সবই দুয়া, সবই ভুল, मकई क्वा9नाक कiना ! a SR