পাতা:কমলা - আশুতোষ ভট্টাচার্য্য.pdf/১০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কমলা মুছিয়া লইল। সে উঠিয়া দাড়াইলে বিরাজ দেখিল, তাহার ভাবে আর কিছুমাত্ৰ চঞ্চলতা নাই। গভীর রাত্ৰিতে বৃষ্টির পর জ্যোৎস্না উঠিলে প্রকৃতিতে যেমন একটা মধুর ও গম্ভীরে মিশ্ৰিত প্ৰশান্ত-সুন্দর অথবা স্নিগ্ধরমণীয় ভাব লক্ষিত হইয়া থাকে, তাহাতেও তেমনি একটা ভাব লক্ষিত হইতেছে । তাহার প্ৰোংশু দেহখানি যেন মৰ্ম্মর প্রতিমার মত স্থির! অশ্রুদিগ্ধ মুখখানি যেন শিশিরসিক্ত পদ্মের ন্যায় সুন্দর । বিরাজ তাহার সে ধীর ভাব দেখিয়া নিজের অধীরতার জন্য লজ্জিত হইল। এবং আর কোন কথা না কহিয়া গহনার পুটলি তুলিয়া লইয়া ধীরে ধীরে বিদায় লইল । কমলা বহিদ্বারা পৰ্য্যন্ত আসিয়া বিরাজ যতক্ষণ না অন্ধকারে মিশাইয়া গেল ততক্ষণ তাহার দিকে চাহিয়া রহিল, তাহার পরেও কিছুক্ষণ তিমিরাবৃত শূন্য পথে চাহিয়া দাড়াইয়া রহিল ; তাহার পর ধীরে ধীরে একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস পরিত্যাগ করিয়া নিঃশব্দে বহিদ্বার রুদ্ধ করিয়া আসিয়া যেমন নিজ শয়নকক্ষের দ্বার রুদ্ধ করিল, অমনি মুক্তার হার সহসা ছিড়িয়া গেলে মুক্তাগুলি যেমন ঝরিয়া পড়ে। সেইভাবে গোটাকতক বড় বড় অশ্রুবিন্দু ঝর ঝর করিয়া তাহার বক্ষোবসনের উপরে ঝরিয়া পড়িল। দীপ জ্বলিতে লাগিল। সে যাদৃচ্ছিাক্রমে শয্যায় পড়িয়া উপাধানে মুখ লুকাইল । প্ৰভাতে অনঙ্গ আসিয়া দেখিল কমলার কক্ষদ্বার রুদ্ধ । সে তাহাকে না ডাকিয়াই বাসিপাট আরম্ভ করিয়া দিল। তাহার ঝাটার খন্তু ‘খরা ও বাসনের ঝাম ঝাম শব্দে কমলা উঠিয়া দেখিল জানালার ܗܶܘܶ ]