পাতা:কমলা - আশুতোষ ভট্টাচার্য্য.pdf/১০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

कभलl ফাক দিয়া সুৰ্য্যের কিরণ ঘরে আসিয়া পড়িয়াছে। সে প্রত্যহ অতি প্ৰত্যুষে শয্যাত্যাগ করিয়া থাকে, এমন কি অনুদয়েই তাহার স্নান হইয়া যায়। বেলা হইয়াছে দেখিয়া তাড়াতাড়ি দ্বার খুলিয়া বাহির হইয়া অনঙ্গের নিকটে আসিয়া তাহাকে নিম্নস্বরে বলিল, “এতটা বেলা হ’য়ে গেছে, মাসী, আমাকে ডাকতে নেই ?” অনঙ্গ দাসী হইলেও কমলা তাহাকে “মাসী” বলিয়াই ডাকে। সে যখন মা-মরা ছোট মেয়েটি, তখন এই অনঙ্গই তাহাকে মায়ের অভাব বুঝিতে দেয় নাই। বৃদ্ধার স্তন্যহীন শুষ্ক স্তনদুইটিকেও শিশু কমলার অনেক অত্যাচার সহিতে হইত। এখন সে বড় হইয়াছে বলিয়া অনঙ্গ তাঙ্গার চক্ষে একটুও ছোট হইয়া যায় নাই। অনঙ্গ ঝাঁটার খরখারানিটা একবার থামাইয়া কমলার দিকে চাহিয়া বলিল,-“ঠা গা ! তোর চোখদুটো আমন ফুলো ফুলো কেন, মুখখানা অমান ভারী ভারী কেন ?-জামাই।বাবুর সঙ্গে ঝগড়া ক’রেছিস না কি ?--কি হ’য়েছে বলা দেখি ?” কমলা মুখটা ভারী করিয়া বলিল, “তোর মাথা হ’য়েছে, মুণ্ডু হ’য়েছে,মুখে আগুন, বাবার ঘুম ভাঙ্গাতে গেলি আমাকে ডাকতে कि कृ'cशछिन ?” অনঙ্গ শুধু একটা “হঃ!” করিয়া ঝাটা চালাইতে আরম্ভ কা প্ল', , এবং ঝাঁটাইতে ঝাঁটাইতে খুব স্পষ্ট করিয়া হাকিয়া বলিল, “ৰ্তার ঘুম ভাঙ্গাতে হয় নি গো, হয় নি!—আমার আসবার আগেই তিনি উঠে বেড়াতে বেরিয়েছেন।” সূৰ্য্যনারায়ণ যে তাহার বেলায় উঠাটা জানিতে পারেন নাই তাহা শুনিয়া যেন কমলার রাগটা নিভিয়া গেল। বহুদিনের পর, তিনি যে Yvo