পাতা:কমলা - আশুতোষ ভট্টাচার্য্য.pdf/১০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

क्रभव् উপনীত হইলেন। দেখিবার, শুনিবার ও বুঝিবার শক্তি ছাড়িবার পূর্বেই কথা কহিবার শক্তি র্তাহাকে ছাড়িয়া গেল। কমলা এখন পিতার মান ও বিশীর্ণ মুখখানির নিকটে নিজের বিষঃ মুখখানি আনিয়া ধূলিস্নান দুঃখক্লিষ্ট ধরণীর উপরে প্রভাতের স্নান শুকতারার মত চাহিয়া নীরবে বুসিয়া থাকে ; আর তিনি আপনার শীর্ণ হাতখানি তাহার মাথার ; উপর দিয়া ধীরে ধীরে বুলাইয়া আনেন। দুই জনেরই চক্ষে অক্লিয়ল অশ্রু বহিতে থাকে। মধ্যাহ্নে একদিন পিতা ও পুত্রী সেইভাবে অবস্থান করিতেছে, এমন সময়ে কতকগুলি কাগজপত্র হাতে করিয়া হরকুমার সেই কক্ষে আসিয়া । দাড়াইল। মুমূৰ্যর নিকটে পাওনার খতিয়ান লইয়া উত্তমর্ণের আগমন বোধ হয় তাহার দুস্কৃতের তালিকা ও আয়ুর হিসার-বহি হন্তে চিত্রগুপ্তের আবির্ভাব অপেক্ষাও অধিক উদ্বেগজনক । সুৰ্য্যনারায়ণ সেই যে অনিমেষকাতর দৃষ্টিতে তাহার দিকে চাহিয়া রহিলেন, আর র্তাহার চক্ষে পলক পড়িল না। কমলা তীব্রস্বরে বলিয়া উঠিল,-“কেন আপনি এখন এখানে এলেন ?-বাবাকে আমার একটু শান্তিতে ম’রতেও দিলেন না ?” V শোকে যে মুক্ত কণ্ঠে কঁাদিতে পারে, তাহার শোকটা যেন শীঘ্রই লঘু হইয়া পড়ে। যে তাহা পারে না, তাহার অশ্রশূন্য নিরুচ্ছাস শোক বড়ই যন্ত্রণাপ্রদ। সে যেন কি একটা পুটপাক অথবা কুম্ভকারপলনের অন্তৰ্দাহ,- উপরে উপরে কিছুই দেখা যায় না,কিন্তু ভিতরে ভিতরে মৰ্ম্মের স্তরে স্তr পাজার আগুনের মত যেন কি একটা আগুন ধিকি ধিকি জ্বলিতে । আর থাক্লিয়া থাকিয়া যখন এক একটা দীর্ঘশ্বাস নামিয়া যায়,