পাতা:কমলা - আশুতোষ ভট্টাচার্য্য.pdf/১৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কমলা ·a·ga· করিয়াও তাহার সেদিনকার সেই ভাবটাকে মন হইতে ধুইয়া ফেলিতে পারে নাই। তাহাকে যামিনীর কথামত অনেক কাজ করিতে হয় ; পূৰ্ব্বেও হইত, কিন্তু পূর্বে যেগুলি অনুরোধ মনে হইত, এখন সেগুলি হুকুম|” মনে হয়। যামিনীর কোন বড়লোক বন্ধু আসিলে হীরালাল সেখানে আসন পায় না । অনেক সময়ে যামিনীর অনেক কথায় ও ব্যবহারে বিরাজের কথাগুলি হীরালালের মনে পড়ে ; কিন্তু পাছে সেই কথাগুলিই সত্য হইয়া দাঁড়ায় এই আশঙ্কাতেই যেন সে সব সহ করিয়া १rक | পৌষমাসের বর্ষ। সমস্ত দিন টিপি টিপি বৃষ্টি হইয়াছে। পথে কাদা । আকাশে মেঘ। সন্ধ্যার বাতাস যেন বরফ মাখিয়া বহিতেছে । যামিনীর বৈঠকখানা আজ ভারী গুলজার ; পাচ সাত জন বন্ধু বসিয়াছে, গান বাজনার সঙ্গে সঙ্গে মুহুমুহুঃ মদ চলিতেছে, আর মাঝে মাঝে হাসির এক একটা হররা উঠিয়া বাড়ী তোলপাড় করিতেছে। হীরালাল সে* আসরে নাই। সে একখানা মোটা কম্বল গায়ে দিয়া নীচের একটা ঘরে পড়িয়া আছে। কয়েক দিন হইল সন্ধ্যার পর তাহার একটু একটু জর হইতেছিল। সে তাহা গ্ৰাহ করে না ; তাহারই উপরে স্নানাহার করে, রাত্ৰি জাগে, হিম লাগায়। জরটা ক্রমেই বাড়িয়া গিয়াছে। একজন চাকর আসিয়া বলিল, “আপনাকে বাবু ডাকছেন।” হীরালাল বলিয়া পাঠাইল, “বলগে তার ভারী জ্বর হয়েছে।” পরীক্ষণেই যামিনী হীরালালকে ডাকিতে ডাকিতে সেই ঘরে আসিয়া বলিল, “তুই ম’রেছিস না কি ? ডাকের চোটে কুম্ভকর্ণের ঘুম ভেঙ্গে যায়, মড়া জেগে ওঠে, আর তোর ঘুম ভাঙ্গে না -তোর হয়েছে কি ?” । হীরালাল। ভারী জ্বর ! sca