পাতা:কমলা - আশুতোষ ভট্টাচার্য্য.pdf/১৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কমলা হীরালাল নিরুত্তর,-আধোবন্দন ! বিরাজ পুনরায় বলিল, “যাও । আমোদ আহলাদ দেদার কর, কিন্তু বাড়ীর আর নিজের অবস্থাটাও মাঝে মাঝে মনে ক’রে ।--আর যদি ইচ্ছে হয়, তবে এই পুরণ বন্ধুর পুরণ কথাগুলিও এক একবার ভেবে দেখো । আজই দুদিন না হয় তুমি নূতন বন্ধু পেয়েছ, আমরা পুরণ হয়ে গেছি ; কিন্তু নূতন সবই ভাল নয়, হারুদ ! — চাল, চাকর, কাঠ, আর যা খেয়ে তুমি সৰ্ব্বস্ব উড়িয়েছ। সেই জিনিষটার মত বন্ধুত্বও পুরণই ভাল।” বিরাজ চলিয়া যাইবার পর বহুক্ষণ হীরালাল সেই একস্থানে স্তব্ধ হইয়া দাড়াইয়া রহিল। তাহার হাতের সিগারেট নিভিয়া গেল, সেটাকে আর লে না ধরাইয়া, পাকাইয়া দূরে ফেলিয়া দিল ; পুনৰ্ব্বার রঙ্গালয়ে প্ৰবেশ করিল বটে, কিন্তু অভিনয় তাহাকে সেদিন আর মোটেই ভাল লাগিল না। “বড় মাথা ধ’রেছে, আমি একটু ফাঁকে যাই” বলিয়া হীরালাল বাহিরে চলিয়া আসিল। বাহিরে এধার ওধার করিয়া একটু বেড়াইয়া একখানা গাড়ী ডাকিয়া সে যামিনীর বাড়ীতে ফিরিয়া আসিল এবং দেরাজ খুলিয়া একটা বোতল বাহির করিয়া চিত্তের বিষন্নতা দূর করিবার অভিপ্ৰায়ে সুরাদেবীর সেবায় প্ৰবৃত্ত হইল । বিরাজের সহিত হীরালালের দেখা হইবার পর দুই মাসও অতীত হয় নাই, কিন্তু ইহার মধ্যেই যেন তাহার ও যামিনীর বন্ধুত্বভাবে ভাটা পড়িয়া আসিয়াছিল। বিরাজের কথাগুলি সবই পদ্মপত্রের জলের মত হীরালালের মন হইতে ঝরিয়া পড়ে নাই। হীরালাল অজস্র সুরাসিঞ্চন S.G.8)