পাতা:কমলা - আশুতোষ ভট্টাচার্য্য.pdf/২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কমলা নাই। সম্প্রতি সূৰ্য্যনারায়ণ নীলকমলের গৃহে আসিয়া কন্যাদায় জানাইয়া, 何可忆区可日 নীলকমল অনুপাত কাসিয়া দেখেন, দশ হাজার টাকা পাওয়াও তঁহার পক্ষে অধিক পাওয়া হয় না। তিনি বলেন, “পাচ শ টাকা পণ দিয়ে যে মেয়ে কিনে বিয়ে ক’রেছে, সেও এখন একটা পচা কোঠাঘর নিয়ে, পাস করা দূরে থাক একটা ফেল করাও নয়—এমন নিরেট মুর্থ কালো কুচ্ছিত ছেলের বিয়ে দিতে দু’হাজার চেয়ে বসে - পেয়েও থাকে ; আর আমার এই বিষয়, এমন এম-এ-বি-এল পাস করা কাৰ্ত্তিকের মত ছেলে !-তবে মেয়ে যদি পরীর মত হয়, আমি এক আধ শ ছাড়তে ও পারি।” একদিন তিনি স্বয়ং, পত্নীর বিশ্বস্তা পরিচারিকা মনোমোহিনী ও ভ্রাতুষ্পপুত্ৰ সুধাংশুভূষণকে সঙ্গে করিয়া সূৰ্য্যনারায়ণের কন্যাকে দেখিয়া আঁসিলেন। মােহিনীর মত বিশ্বনিন্দক রমণী বিশ্বে বড় বেশী থাকে না ; তাহাকেও বলিতে হইল, “হ্যা-মেয়ে সুন্দরী বটে, রূপের খুঁত নেই ; তবে চোখ দুটি একটু ছোট ছোট, আর নাকটি একটু বসা বসা হ’লেই যেন আরও মানান হ’ত ব’লে মনে ভয়।” মোহিনীর নিজের চক্ষু দুটি কুঁচের মত ছোট ছোট, আর নাসিকাটি ওষ্ঠের সমতলবৰ্ত্তী বলিয়া সে যে ঐ দুইটা অঙ্গের ক্ষুদ্রতা ও অনুচ্চতাকেই সুন্দৰ্য্যের আদর্শ বলিয়া মনে করিয়া থাকে, নীলকমলের পত্নী তাহা জানিচির; সুতরাং তিনি আর মুখ বাকাইয়া “কুচ্ছিৎ” বলিয়া আপত্তি করিলেন ছিল নীলকমলেরও আন্তরিক ইচ্ছা সেই মেয়েটিকেই ঘরে আনিবেন। ও আর অধিক দর-কষা-কষি না করিয়া, সৰ্ব্বসমেত সাত হাজার টাকা লইয়াই কন্যাদায়গ্ৰস্ত সূৰ্য্যনারায়ণকে দায়মুক্ত করিতে স্বীকৃত হইলেন। তবে এ টাকাটা সমস্তই নগদ। গহনাদি তিনি মনের মত করিয়া নিজে > R ]