পাতা:কমলা - আশুতোষ ভট্টাচার্য্য.pdf/২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কমলা চূড়ামণি সমধিক উত্তেজিত হইয়া বলিলেন, “ইচ্ছে বা অনিচ্ছে কিসে বুঝলে ?--তোমার মেয়ে কি সেকথা তোমাকে ব’লেছে ?” সূৰ্য্য। আজ্ঞে না-কার ও মেয়েই সে কথা তা’র ব্যাপকে ব’লতে পারে না-সেটা কতকটা অনুমানে বুঝে নিতে হয়। আমার মেয়ে বরং অনেকটু ব’লেছে-তাতে আপনার প্রস্তাবিত বিবাহেই কতকটা সম্মতির আভাস দিয়েছে ; কিন্তু তার অন্তরের কথা কি, সেটা আমি অনুমানে বুঝেছি। চূড়ামণি উচ্চহাস্য করিয়া বলিলেন, “ও-হে!—তোমার অনুমান!” সূৰ্য্যনারায়ণের ললাটে একটা অপ্ৰসন্নতার ছায়া পড়িল। তিনি ক্ৰযুগ কুঞ্চিত করিয়া দৃঢ়স্বরে বলিলেন, “আজ্ঞে হী-আমার অনুমানই বটে ; কিন্তু সেটা ভুল মনে ক’রবেন না! আমি যে তাকে হাতে ক’রে মানুষ ক’রেছি, ঠাকুর ! সে যখন এতটুকুট, তখন তার প্রস্থতি তাকে ফেলে, চ’লে গেছে; আমি প্ৰস্থতির মত তাকে লালন পালন ক’রেছি, বালকের মত হ’য়ে তার সঙ্গে খেলা ক’রেছি, আবার গুরুমহাশয় হ’য়ে তাকে লেখা পড়া শিখিয়েছি। আমি মুখের ভাবেই তার মুনের কথা প’ড়তে পারি।” চূড়ামণি প্রতিবাদ করিবার মত কিছু খুজিয়া পাইলেন না, গভীর হইয়া বসিয়া রহিলেন। সূৰ্য্যনারায়ণ আরও বলিলেন, “ঘটক যেদিন প্রথম নীলকমলের পুত্রের কথা উত্থাপিত করে, কমলা সেদিন সেখানে উপস্থিত ছিল। সেই দিনই তার আরক্ত গণ্ডে আমি পুর্বরাগের আভাস পেয়েছিলাম। সাধ্যাতীত ব’লে যেদিন পরিত্যাগ করি, সেদিনও তার আনত মুখে নৈরাশ্যের ছায়া দেখেছি। সে যে আমার বড়টি হ’য়েছে, ঠাকুর! আমিও অন্ধ নই-জড় নই ; শুধু আপনার অনুরোধ আর dst