পাতা:কমলা - আশুতোষ ভট্টাচার্য্য.pdf/২১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কমলা কৃষ্ণনাথ পশ্চিম প্রদেশে চাকরী করিতেন। সম্প্রতি কৰ্ম্ম হইতে অবসর লাইয়া সপরিবারে দেশে ফিরিতেছিলেন। একটি পুত্র ও একটি কন্যা লইয়াই ঠাঙ্গার পরিৱার। পুত্ৰ হেমন্তকুমারের বয়স আঠার বৎসর, কন্যা করুণাময়ী তাতার অপেক্ষা পাঁচ বৎসরের ছোট । কাহারও বিবাহ হয় নাই । কন্যার বিবাহ দিবার জন্য কৃষ্ণনাথ কিছু তাড়াতাড়ি দেশে ফিরিতেছিলেন, তথাপি পথে যতগুলি তীর্থস্থান ছিল তাহা দেখিতে দেখিতেআসিতেছিলেন। দুই চারি দিন হইল তাহার কাশীতে আসিয়াছেন। নীরদা নামে এক জ্ঞাতিকন্যা তাঙ্গাদের পাচিকার কার্য্য করিয়া থাকে। নীরদ পতিপুত্রবিহীনা, সংসারে আপনার বলিতে আর তাহার কেহই ছিল । না। সেও কৃষ্ণনাথের পরিবারভুক্ত হইয়া ছিল, এবং বেহারী নামে একজন ভৃত্য ছিল, তাহারও স্বতন্ত্র গৃহ ছিল না। নীরদ প্ৰত্যহ অতি প্ৰত্যুষে স্নান করিয়া থাকে। কাশীতে আসিয়াও সে প্ৰতিদিন গঙ্গায় স্নান করিতে যায়। করুণাও প্ৰত্যহ তাহার সঙ্গে গমন করে। এই প্রাত্যহিক স্নানযাত্রায় বেহারী উভয়ের পথপ্রদর্শক, রক্ষক ও বস্ত্রবাহী। স্নান কখন দুইদিন এক ঘাটে হয় না ; কোন দিন মণিকর্ণিকায়, কোন দিন কেদারে, কোন দিন দশাশ্বমেধে । , , একদিন তাহারা স্নান করিতে আসিয়া-দেখিল, ঘাটে অনেক লোক জমা চইয়াছে । ভিড়ের একপাশে একটু ফাঁক পাইয়া উকি দিয়া দেখিল, সেই বৃত্তাকার জনতার দৃষ্টি-কেন্দ্র, একটি অসামান্যসুন্দরী যুবতী । তাহার পরিধেয় একখানি মোটা লালপেড়ে শাড়ী, খুব ময়লা, খুব জীর্ণ, আর স্থানে স্থানে সেলাই করা ও তালি-দেওয়া। [ $ào