পাতা:কমলা - আশুতোষ ভট্টাচার্য্য.pdf/২৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কমলা প্ৰসিদ্ধ বিবিধ তীর্থস্থান লইয়া অনেকক্ষণ ধরিয়া উভয়ের অনেক কথাবার্তা হইল ; তাহার শেষে যুবা সন্ন্যাসীকে জিজ্ঞাসা করিল, “আপনি কতদূর যাবেন ?” স। উপস্থিত এই গাড়ী যতদূর যায়। যু। তার পর ? স। তার এখন কিছুই ঠিক নেই; আপনার কতদূরের টিকিট ? যু। আমি আগ্ৰায় নেমে যাব। স। আগ্রাতেই থাকা হয় কি ? যু। না বেড়াতে যাচ্ছি। স। তাজমহলটা তা হ’লে দেখছেন বোধ হয় ? যু। সে ইচ্ছে আর বড় নেই। —অনেকবার দেখা হ’য়েছে। স। আমিও তাজ অনেকবার দেখেছি, কিন্তু আবার দেখবার ইচ্ছে নেই, এমনটা বলতে পারি না। -সুন্দর জিনিস যেন পুরন হ’তে “ চায় না ; যতবার দেখেছি, তাজ ততবারই যেন নূতন মনে হ’য়েছে - দিনে, রাতে, রৌদ্রে, জ্যোৎস্নায়, সকালে, সন্ধ্যায়,-যখনই দেখুন, তাজ ত সেই একই, কিন্তু ভিন্ন ভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন সৌন্দৰ্য্য মনকে মুগ্ধ করে না ?-ভিন্ন ভিন্ন কথা মনে তুলে দেয় না ?--সেইখানটাতে গিয়ে দাড়ালেই যেন মনের কেমন একটা ভাবান্তর উপস্থিত হয় ! যুবা । মাটীর চাপড় বসান একটা যেমন তেমন গোরস্থান, কিম্বা ছেড়ার্ক্যাথা-ভাঙ্গাকলসী-আধাপোড়া কাঠ-কয়লা-ছাড়ান শ্মশানের কাছে গিয়ে দাড়ালেও কি মনের ভাবান্তর হয় না ?--আর যুগযুগান্তের কত রাজা ও রাজ্যের আবির্ভাব-তিরোভাব, অত্যুদয়-বিলায়ের সহস্রন্থতিজড়িত যমুনার কালো জলের উপরেই মৰ্ম্মরের এমন শুভ্ৰ-সুন্দর সমাধিমন্দির [ ২৩৫