পাতা:কমলা - আশুতোষ ভট্টাচার্য্য.pdf/২৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কমলা সন্ন্যাসীকে তাহা দেখাইয়া “বলিল, ঐ যে বনে-ঢাকা ভাঙ্গা বাড়ীখানি দেখা যাচ্ছে, আর কিছুদিন পরে ওর কি থাকবে ? এখনই বা কে জানে,-কে ব’লতে পারে, ঐ বাড়ীর লুপ্তপ্রাঙ্গণ কতদিন আগে কোন ভাগ্যবানের আনন্দহাস্যে মুখরিত হ’য়েছিল, কি কোন অভাগার ক্ৰন্দনের রোলে প্ৰতিধ্বনিত হ’য়েছিল ? কোনও ইতিহাসেই তা দেখতে পাবেন ন! ; কিন্তু বেশ ব’লতে পারি, তারা যদি অসাধারণ সৌভাগ্য নিয়ে না এসে থাকে। তবে সাধারণের মত দুঃখেই তাদের জীবনের অবসান হ’য়েছে ! এ সংসার অশেষবিধ দুঃখের আকুল সাগর,-দুঃখের সীমা নেই, অবসান নেই । সন্ন্যাসী। এ বিষয়ে আমি আপনার সঙ্গে একমত হ’তে পারলাম না। আমার বিশ্বাস, সংসার আনন্দ-সুখে পূর্ণ-অমৃতময় ; দুঃখ মানুষের । অন্তরে। যে সংসারে চাদ ওঠে, ফুল ফোটে, যে সংসারে শিশুর সরল হাসি আছে, প্রীতিময়ী রমণীর প্রেমামৃতপূৰ্ণ হৃদয় আছে, সে সংসারে আনন্দের বা সুখের অভাব কি ? • যুবা । মানুষের দুর্ভাগ্য যে, চাঁদের আলোয় শুধু অন্ধকারই দূর ক্ষয়-অভাব দূর হয় না, ফুলের গন্ধেও কারো পেট ভরে না! শিশুর আনন্দের হাসি মৃত্যুর স্পর্শে নিভে যায়, মা বাপের আশা-ভরসা একমাত্র বংশধর পুত্রকে মায়ের কোল শূন্য ক’রে কেড়ে নেবার জন্যে তার শিওরেও সম এসে দাড়িয়ে থাকে। রমণীর হৃদয় নেই, থাকে। ত তাতে প্ৰেম থাকে না ; প্ৰেম, ব’লে যা মনে হয়, সেটা অমৃত নয়-একটা তীব্র বিষ, তাতে প্ৰাণ শীতল হয় না-দিগ্ধ হয় না, শুধু জ’লে পুড়ে ক্ষার হ’য়ে यां । সন্ন্যাসী অবাক হইয়া যুবার মুখের দিকে চাহিয়া রহিল। যুৱা [ ২৩৯